Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১৬ ১৪৩১, মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪

জাপানে জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা:সিঙ্গাপুরে কোয়ারেন্টিনে ২০ হাজার

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:২৯, ৬ এপ্রিল ২০২০

প্রিন্ট:

জাপানে জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা:সিঙ্গাপুরে কোয়ারেন্টিনে ২০ হাজার

করোনাভাইরাস আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়া ঠেকাতে সিঙ্গাপুরে ২০ হাজার অভিবাসী শ্রমিককে কোয়ারেন্টিন করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এজন্য শ্রমিকরা থাকেন এমন দুইটি ডর্মিটরি অর্থাৎ আবাসস্থলকে আলাদা করে ফেলা হয়েছে।

পাঙ্গল এলাকায় এস-১১ ডর্মিটরিতে ১৩ হাজার শ্রমিক থাকেন, যেখানে ইতিমধ্যে ৬৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছে। ওয়েস্টাইল টোহ গুয়ান ডর্মিটরিতে ৬৮০০ শ্রমিক থাকেন যাদের মধ্যে ২৮জন আক্রান্ত হয়েছেন।

এসব ডর্মিটরিতে মূলত দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিকেরা বাস করেন। কর্তৃপক্ষ বলছে, এই দুইটি আবাসিক ভবনে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হার বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শ্রমিকদের নিজেদের কামরা ও ব্লক থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে।

সেই সঙ্গে তাদের রুম বা ফ্লোরে থাকে না, এমন মানুষদের সঙ্গেও মিশতে নিষেধ করা হয়েছে। ডর্মে থাকা শ্রমিকদের রোজ তিনবেলা করে খাবার দেয়া হচ্ছে, কিন্তু সেখানকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। একেক কামরায় বসবাসরত মানুষের সংখ্যা একেক ডর্মে একেক রকম।কিন্তু ২০১৫ সালে বিবিসির এক অনুসন্ধানে দেখা গিয়েছিল কোন কোন কামরায় এমনকি ১২ জন পর্যন্ত অবস্থান করেন।

এদিকে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সিঙ্গাপুরের কর্তৃপক্ষ যদিও আগাম সতর্কতামূলক অনেক ব্যবস্থা নিয়েছে, কিন্তু দেশটিতে ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে দেশটিতে লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে।

জাপানে জরুরি অবস্থা

করোনাভাইরাসে প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে জাপানের সরকার জরুরি অবস্থা জারি করতে যাচ্ছে। এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সন্ধ্যায় আলাপে বসবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী সিনজো আবে। ওই বৈঠকের পরই জরুরী অবস্থা জারির ঘোষণা দেয়া হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত জাপানে ৩৬০০ মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এর মধ্যে মারা গেছেন ৮৫ জন।

নিউ ইয়র্কে আক্রান্তের হার হ্রাস

নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমেছে। রোববার ওই রাজ্যে মোট ৫৯৪জন মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন, আগের দিন মারা গিয়েছিলেন ৬৩০ জন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একে `সুরঙ্গের শেষে আলোর দেখা পাওয়া গেছে` বলে বর্ণনা করেছেন।

তবে মার্কিন উপদেষ্টা ড. অ্যান্থনি ফাউচি মৃত্যুর হার কমাকে সাময়িক অগ্রগতি বলে মনে করেন। তার সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন মার্কিন সার্জন জেনারেল জেরোমি অ্যাডামস, তিনি মনে করেন আগামী সপ্তাহগুলো হবে `খুবই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং` সময়। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ১২০০ মানুষ মারা গেছেন। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসি, ডেট্রয়েট এবং নিউ অর্লিয়েন্সে এখনো করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যে কারণে মাস্ক ও ভেন্টিলেটরের মত মেডিকেল সরঞ্জামের স্বল্পতা বহুগুণ বাড়বে বলে অনেক রাজ্যের গভর্নর ইতিমধ্যে সতর্ক করেছেন।

অন্যান্য জায়গায় কী হচ্ছে

স্পেন এবং ইটালিতেও সম্প্রতি করোনা আক্রান্তের হার কমে এসেছে, ধারণা করা হচ্ছে লকডাউনের ফলে এই উন্নতি হয়েছে। এদিকে, কোয়ারেন্টিনে যেতে রাজি না হওয়ায় তাইওয়ানের নাগরিক একজন নারীকে ডিপোর্ট করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। আবার বাজারে আসা ক্রেতাদের ওপর ইচ্ছে কাশি দেয়ার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় নিউজিল্যাণ্ডে এক ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছে আদালত। সূত্র: বিবিসি

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer