Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

আষাঢ় ২৮ ১৪৩২, রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৫১, ১৩ আগস্ট ২০২৪

প্রিন্ট:

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ

ফাইল ছবি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আবু সায়েদ নামে এক দোকানদার হত্যার অভিযোগে মামলাটি সংশ্লিষ্ট মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এই মামলার আবেদন করেন। পরে মামলাটিতে বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদেশের জন্য রাখেন। মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে মামলাটি মোহাম্মদপুর থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদনে মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজিপি হারুন-অর-রশীদ ও অতিরিক্ত যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার।

গত ১৯ জুলাই বিকাল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিলে পুলিশের গুলিতে আবু সায়েদ নামে ওই ব্যক্তি নিহত হন।

মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ছাত্র-জনতার ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি কোটা সংস্কার আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছিল। কোনও উসকানি ছাড়া উক্ত আসামিদের নির্দেশে অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা গুলি করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও সাবেক সেতুমন্ত্রী আন্দোলন শক্ত হাতে দমন করার নির্দেশ দেন। অপর আসামিরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমাতে তাদের অধীনস্থ পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামি আসাদুজ্জামান কামাল পুলিশকে ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি করার নির্দেশ দেন।

গত ১৯ জুলাই বিকাল ৪টায় মোহাম্মদপুর থানাধীন বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় হাজার হাজার ছাত্র-জনতা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে মিছিল করছিল। সেই আন্দোলন দমনের জন্য পুলিশ নির্বিচারে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। সেই সময় মোহাম্মদপুর বসিলা ৪০ ফিট চৌরাস্তায় মুদি দোকানদার আবু সায়েদ (৪৫) রাস্তা পার হয়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। তার মাথার এক পাশ দিয়ে গুলি ঢুকে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায়।

মামলার বাদী জানান, আবু সায়েদ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পর স্থানীয়রা তার লাশ গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার মাড়োয়া বামনহাট ইউনিয়নের নতুন বস্তি প্রধানহাটে পাঠিয়ে দেয় এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়। যেহেতু নিহত আবু সায়েদের গ্রামের বাড়ি সুদূর পঞ্চগড়ে এবং তার পরিবার অত্যন্ত গরিব। তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারছেন না। এ কারণে সচেতন নাগরিক হিসেবে বাদী এই মামলার আবেদন করলেন।