
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এগিয়ে যাওয়ার ৮ বছরের সঙ্গী ছিলেন তিনি। বিদায় বেলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অগ্রগতির নানা কথা বলেছেন। উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর নির্ধারিত লক্ষ্য, বাস্তবায়ন ও চ্যালেঞ্জসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাও বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মেহেরাবুল ইসলাম সৌদিপ।
প্রশ্ন: জবি উপাচার্য হিসেবে এই প্রথম আপনি দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করলেন মানে ৮ বছর। আপনার এই ৮ বছরের পথচলাটা জানতে চাচ্ছি।
ড. মীজান: আমি উপাচার্য হয়ে আসার পর প্রথম যে জিনিসটি আমার নজরে আসে সেটি হচ্ছে কালচার। প্রথমে যেহেতু এটি কলেজ ছিলো সেহেতু কলেজের কিছু কালচার এখানে রয়ে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে আলাদা একটা ফ্লেভার আছে সেটি নিয়ে আসাটা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং ছিলো। বিশ্ববিদ্যালয় কেবলমাত্র পড়াশোনার জায়গা না, জ্ঞান আহরণ ও জ্ঞান বিতরণ দুটোরই জায়গা। আমার মনে হয় কিছুটা হলেও আমি পরিবর্তন আনতে পেরেছি। এখন এটাকে কেউ কলেজ বলেনা, বিশ্ববিদ্যালয়ই বলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাজ গবেষণায় এখন আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এম.ফিল, পি.এইচ.ডি প্রোমার চালু করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫০ জন শিক্ষক এখন আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে পড়াশোনা করতে পারছে। শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতিও আরো কঠোর করা হয়, যেমন-রিসার্চ আর্টিকেল, ডিগ্রি এই বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। দেখা যায় যে ১২০ জন প্রফেসরের মধ্যে ১১৬ জনেরই পি.এইচ.ডি আছে।
প্রশ্ন: আপনার সময় বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যেমন: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম লিখিত পরীক্ষা নেয়া, সান্ধ্য কোর্স বন্ধ করা, শিক্ষকদের শতভাগ পি.এইচ.ডি নিশ্চিত করা, বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছাড়া গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় যাওয়া যেখানে জগন্নাথের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। এই প্রতিটি বিষয়ই খুব চ্যালেঞ্জিং ছিলো। আপনার কেনো মনে হলো যে এই উদ্যোগগুলো নেয়া প্রয়োজন? এ বিষয়ে যদি কিছু বলতেন?
ড. মীজান: আমার মনে হয় এগুলো জাতির ডিমান্ড ছিলো। পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিলো মূলত জালিয়াতি রোধ করার জন্য। এছাড়াও নানা পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে আমরা সফলভাবে তা রোধ করতে পেরেছি এবং মেধাবী শিক্ষার্থী বেছে নিতে সক্ষম হয়েছি। এরপর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগীতায় হয়েছে কিন্তু এই আইডিয়াটা আমাদের ছিলো। আমি আইডিয়াটা দেয়ার পর অন্যন্য উপাচার্যরা এতে সম্মতি জানিয়েছেন। বিভিন্ন সমাবর্তনে সান্ধ্য কোর্স নিয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি কথা বলেছেন। আমি মনে করি সীমিত পরিসরে এই কোর্সটি থাকা যেতো কিন্তু দেখা যায় যে, প্রায় সব বিভাগে এই কোর্সটি চালু হয়েছে এবং সকাল থেকে বিকেলের ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি যা নিয়ে নানা সমালোচনা হয়ে আসছিলো। যার কারণে আমরা এই কোর্সটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রশ্ন: আপনার সময় জবির দুইটা বড় হল আন্দোলন হয়েছিলো। একটা ২০১৪ তে আরেকটি ২০১৬ তে। আপনার অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এই আন্দোলন দুটি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছি।
ড. মীজান: আমাদের তো কোন আবাসন ব্যবস্থা আসলে ছিলো না। এতজন শিক্ষার্থীর একটা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসন শূন্য এটা তো মেনে নেয়া যায়না। ৮০ দশকে ক্যাম্পাসের আশেপাশের এলাকায় কিছু হিন্দুদের পরিত্যক্ত বাড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা থাকতো। কিন্তু এগুলোর মালিকানা জাবির ছিলোনা। যেহেতু আগে ছাত্ররা থাকতো সেই সুবাধে সরকারী হস্তক্ষেপে আমরা দু-তিনটি বাড়ি পেয়েছিলাম কিন্তু এগুলো হল করার মত অবস্থায় ছিলো। ছোট ছোট বাড়ি যা বড়জোর কর্মচারীদের কোয়ার্টার হতে পারে। এছাড়াও অনন্যা বাড়িগুলো দখলদারদের হাতে ছিলো। সেগুলো উদ্ধার করা আমাদের ছাত্র-শিক্ষকদের কাজ নয়। সরকার দায়িত্ব নিয়ে দখলমুক্ত করে আমাদের হস্তান্তর করবে- আমি এই নীতিতে বিশ্বাসী। এরপর শেষ পর্যায়ে আমরা জায়গা কেনার সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু আশেপাশের কোথাও তেমন কোন বড় পরিসরের জায়গা পাওয়া যাচ্ছিলো না। পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেরানিগনঞ্জে আমাদের ২০০ একর জায়গা নিবন্ধন করে দিয়েছেন হল করার জন্য। ইতোমধ্যে সেখানে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ছাত্র- শিক্ষক সবার কথা মাথায় রেখে একসাথে প্রায় ১৬ টি হল একসাথে করা হবে।
প্রশ্ন: আপনার ইচ্ছে ছিলো কিন্তু করতে পারেননি। এমন কোন কাজগুলো আছে?
ড. মীজান: সরকার একটা প্রজেক্ট হাতে নিয়েছিলো সেটি হচ্ছে পরিত্যক্ত বাড়ি ভেঙ্গে নতুন করে হল করার কিন্তু নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো এই প্রজেক্টটিতে যদিও এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব ছিলোনা। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, বিশেষ ব্যবস্থায় প্রজেক্টটি শেষ হয়েছে। তবে আমার মনে হয় বিল্ডিং বা দালানকোঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নগণ্য বিষয়। বড় বিষয় হচ্ছে হিউম্যান রিসোর্স। শুধুমাত্র মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে শিক্ষকদের। এক্ষেত্রে কোন দুর্নীতির রেকর্ড নেই। এটাই বড় সন্তুষ্টির বিষয়। এছাড়াও রিসার্চ জার্নাল প্রকাশনায় বিশ্ববিদ্যালয় এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের গাড়ি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন তো ক্রমান্বয়ে ঘটে। সামনে যারা আসবেন আশা করছি তারা এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে কাজ করে যাবেন।
প্রশ্ন: শেষ সময়ে এসে নিজেকে কোন কিছু নিয়ে ব্যর্থ মনে হয় কিনা কিংবা এমন কিছু আছে যা করতে পারলে ভালো হতো বলে মনে করছেন?
ড. মীজান: যে প্রজেক্টটি ছিলো সেটি যদি আরো ৪-৫ বছর আগে শুরু করা যেত তাহলে সুন্দরভাবে শেষ হতো বলে মনে হয়। আর আমার অতৃপ্তি নিশ্চয় থাকবে কাজ নিয়ে কেননা একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মান তো ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। আগের থেকে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান অনেক ভালো হয়েছে। প্রথম সারীর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জগন্নাথের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
প্রশ্ন: ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় যে ১৯৫২ কিনবা ৭১ এ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতিতে অনেক এগিয়ে ছিলো। যেখানে আলাদা একটা জায়গা ছিলো জগন্নাথ কলেজের ছাত্রদের কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পর ছাত্র রাজনীতিতে পিছিয়ে পড়েছে জাবি। সার্বিকভাবে এবিষয়ে আপনি কি বলবেন?
ড. মীজান: এটাতো দেশের সার্বিক জাতীয় পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। এখন কোন আন্দোলন-সংগ্রাম নেই, সুযোগও নেই তেমন। বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে যাওয়ার ১৫ বছরে কোন সমাবর্তন হয়নি। এরপর আমরা বৃহৎ সমাবর্তনের আয়োজন করলাম যা হয়তো এশিয়ার মধ্যেও সবচেয়ে বড় সমাবর্তন। এটি সাড়া জাগানোর মতো একটা ঘটনা ছিলো এবং আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিলো। যদি কখনও দেশের ছাত্র সংসদ গুলোর নির্বাচন স্বাভাবিক অবস্থায় হয়ে যায় এবং ছাত্র সংগঠনগুলো ভালোভাবে এটার জন্য কাজ করে তখন জকসু হবে। লাস্ট সিন্ডিকেটে আমরা জকসুর গঠনতন্ত্র অনুমোদন করেছি। এখন সময়ের অপেক্ষা যদি নির্বাচন হয় তাহলে করতে পারবে।
প্রশ্ন: দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষক রাজনীতিতে একটা টালমাটাল অবস্থা বিরাজ করছে। আপনিও আওমী আদর্শের দল। আওমী আদর্শের যে সংগঠন নীল দল সেখানেও অসামঞ্জস্যতা বিরাজ করছে। জবিতেও একই অবস্থা। একজন জাতীয় শিক্ষাবিদ হিসেবে আপনি কিভাবে দেখেন বিষয়টিকে?
ড. মীজান: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে তো পুরোটাই সরকারি দল, বিরোধী দল নাই বা থাকলেও নিষ্ক্রয়। যার কারণ সরকারী দলই দু`ভাগ হয়ে গিয়েছে। আর দু`দলকে একসাথে করা তো আমার কাজের মধ্যে পরেনা তাই এসব নিয়ে ভাবিনি। আর নির্বাচন যখন আছে পলিটিক্স তো থাকবেই। সময় মত আবার দুই দল এক হয়ে যাবে।
প্রশ্ন: তৃতীয় মেয়াদে আপনার আসার ইচ্ছে আছে কিনা?
ড. মীজান: এরকম কোন সুযোগ নেই। আর আমার ইচ্ছেও নেই। নতুন উপাচার্যের জন্য অপেক্ষা করছি।
প্রশ্ন: নতুন উপাচার্যের কাছে আপনার প্রত্যাশা কী? প্রথমত কোন কাজগুলোতে গুরুত্ব দিতে বলবেন তাকে?
ড. মীজান: এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সব নিয়ম-কানুন, নীতি একটা লেভেলে চলে আসছে যা আরো নিচে নামানো সম্ভব নয়। একজন মানুষ যদি সৎ হয় এবং কোন উদ্যোগ নিতে সাহসী হোন তাহলে হবে। সব আইন ও নিয়ম-কানুন যেহেতু করাই আছে সেগুলো মেনে চলবেন এবং কোন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবেন না এটাই প্রত্যাশা। আর সে লোকটাকে অবশ্যই যোগ্য হতে হবে, শিক্ষিত হতে হবে। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহী, যার নিজের বের করা কিছু বই থাকবে এবং চারিত্রিক গুণাবলী সম্পন্ন হবেই এটাই চাওয়া।
প্রশ্ন: শিক্ষার্থীদের চাচ্ছেন পরবর্তী ভিসি যেন নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে আসেন। এবিষয়ে আপনি কি বলবেন?
ড. মীজান: অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণত এরকমটা হয়না। তবে গভর্নমেন্ট যদি চায় হতে পারে। সবাই যদি মেনে নেয় এক্ষেত্রে আমার কোন আপত্তি নেয়। নিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হলে হয়তো উনি ভিতরের বিষয়গুলো আরো ভালো জানবেন।
প্রশ্ন: এবার একটু জাতীয় বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। করোনা শিক্ষা ব্যবস্থায় কতটা প্রভাব ফেলেছে বলে আপনি মনে করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কখন খোলা উচিত বলে মনে করেন?
ড. মীজান: করোনা পুরো বিশ্বেই অর্থনৈতিক সংকট, কালচারাল সংকট সহ সকল ক্ষেত্রে সংকট তৈরী করেছে। সবচেয়ে বেশি সংকট তৈরী করেছে শিক্ষাক্ষেত্রে। সকল শিক্ষার্থীদের এখন অনলাইন নির্ভরশীল পাঠদান দেয়া হচ্ছে। তবে অনলাইন পাঠদান কখনই অন ক্যাম্পাসের বিকল্প হতে পারেনা বলে আমি বিশ্বাস করি। কিছুটা হলেও শিক্ষাব্যবস্থা চালু রাখা গেলেও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হচ্ছেনা যা বড় বিপির্যয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার মে তে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরিকল্পনা করলেও সেটা সম্ভব হবে কিনা ভাবার বিষয়। কারণ দেখা যায় যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সাথে সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার একটা সম্পর্ক আছে। আর আমাদের দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে সকল নিয়ম মানা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস করাটা কিছুটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। দেখা যাক এখন কি হয়, সংক্রমণের হারের উপর নির্ভর করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় কোন জায়গায় জরুরী পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?
ড. মীজান: এবছর যে সমস্যাটা দেখা দিচ্ছে সেটা হচ্ছে এবছর এইচএসসিতে ১৪-১৫ লক্ষ শিক্ষার্থী পাস করেছে আবার আগের বছরেরও কিছু শিক্ষার্থী রয়ে গিয়েছে তাদের সবাইকে ভর্তি করতে হবে। সব শিক্ষার্থীরা যদি অনার্স-মাস্টার্স পাস করে তখন দেখা যায় যে যোগ্যতা অনুযায়ী ৮০% মানুষকে চাকরী দেয়া সম্ভব হয়না। এরজন্য আমাদের কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব এবং মা আরো বৃদ্ধি করতে হবে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীই যেন কোন একটা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ও বিদেশে কাজ করতে পারে। হাজার হাজার বেকার তৈরী করার যে পড়াশোনা এটা নিয়ে দ্রুত ভাবতে হবে। গবেষণা ও কারিগরি প্রশিক্ষণে জোর দিতে হবে।
প্রশ্ন: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বকীয়তার জন্য শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়াটা কতটা জরুরি বলে মনে করছেন?
ড. মীজান: এখানে সব শিক্ষকরাই প্রতিযোগিতা মাধ্যমে নিজের যোগ্যতা নিয়ে হয়েছেন। সেক্ষেত্রে হয়তো অনেকেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক হয়েছেন। ভবিষ্যতে হয়তো এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে। তবে এক্ষেত্রে স্বকীয়তা বা বিশেষ কোটার কোন বিষয় নেই।
বহুমাত্রিক.কম