ছবি- সংগৃহীত
মিয়ানমারের চলমান গৃহযুদ্ধের জের ধরে মিয়ানমারের সেনা ও বিজিপির আরও ১৩ সদস্য বাংলাদেশ পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। এ নিয়ে গত ৩ দিনে মোট ২৯ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার সকালে নতুন করে ১২ জন এবং দুপুরে আরও ১ জন পালিয়ে আসেন। এর মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে একজন, রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করে। এই ১৩ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোনো বাহিনীর কতজন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। তাদেরকে নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে গত ৩ দিনে নতুন করে ২৯ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। যেখানে সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসে। এর আগে রোববার (১৪ এপ্রিল) টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসে বিজিপির আরও ১৪ জন সদস্য। নতুন করে আসা ২৯ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়রত রয়েছে। এ নিয়ে মোট ২০৯ জন ওখানে রয়েছেন। আগে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ৩ জন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন। এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনাসদস্য।
এর আগে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ৩৩০ জনকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।