ফাইল ছবি
একই দিনে অভিন্ন প্রশ্নে এবার এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে মেডিকেল ভর্তি নীতিমালা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)।নীতিমালা অনুযায়ী, এবার ১০০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ মোট ১০০ নম্বরের হিসাবে নির্ধারণ করা হবে।\
বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ওয়েবসাইটে এ নীতিমালা প্রকাশ করা হয়। বিএমডিসির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. লিয়াকত হোসেন নীতিমালায় সই করেছেন।
নীতিমালা অনুযায়ী, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ এবং জাতীয় ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ মোট ১০০ নম্বর হিসাবে নির্ধারণ করা হবে।
এ ক্ষেত্রে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ৮ গুণ এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর ১২ গুণ এবং ভর্তি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে মেধা তালিকা তৈরি করা হবে।
তবে সেকেন্ড টাইমার (দ্বিতীয়বার) প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৩ নম্বর এবং পূর্ববর্তী বছরে সরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তিকৃত প্রার্থীর ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ৫ নম্বর কেটে মেধা তালিকায় অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তির জন্য একইসঙ্গে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্সে জাতীয় ভর্তি পরীক্ষা হবে। ইংরেজি মাধ্যমে উত্তীর্ণ এবং ইংরেজি মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য ইংরেজিতে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করতে হবে।
এইচএসসি বা সমমান সিলেবাস অনুযায়ী ১০০টি প্রশ্নে লিখিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলেও উল্লেখ রয়েছে নীতিমালায়। এতে বলা হয়েছে, প্রতিটি প্রশ্নের মান থাকবে ১। বিষয়ভিত্তিক বিভাজন যথাক্রমে- জীববিজ্ঞান ৩০, রসায়ন ২৫, পদার্থবিজ্ঞান ১৫, ইংরেজি ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, প্রবণতা ও মানবিক গুণাবলী মূল্যায়ন ১৫ নম্বর।
সব মিলিয়ে ৪০ নম্বরে পাস মার্ক নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ভুল উত্তর দেওয়ার জন্য ০.২৫ নম্বর কাটা যাবে। পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।
পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রসঙ্গে নীতিমালায় বলা হয়, প্রবেশপত্রে আবেদনকারীর ছবির জলছাপ সন্নিবেশ করতে হবে। পরীক্ষার্থী পরীক্ষার হলে বলপয়েন্ট ব্যতীত অন্য কোনো কলম, পেনসিল, ঘড়ি অথবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস সঙ্গে আনতে পারবে না।
এছাড়া এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারীও পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোনসহ অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।
তবে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র বা ভেন্যুর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনে অফিস কক্ষে বা ভর্তি পরীক্ষার কন্ট্রোল রুমে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কোনো অবস্থাতেই কেউ পরীক্ষার হলে মোবাইল ফোন বা অন্য কোনো ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না।
মেধা তালিকা, শিক্ষার্থী নির্বাচন ও আবেদন গ্রহণ প্রসঙ্গে নীতিমালায় বলা হয়, শুধুমাত্র লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিট ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তির জন্য জাতীয় মেধা তালিকা (বিশেষ কোটা উল্লেখসহ) প্রকাশ করা হবে।
সরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তির জন্য উপজাতি ও পার্বত্য অঞ্চলের অ-উপজাতীয়দের জন্য নির্ধারিত কোটা অনুযায়ী শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে।
অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন দাখিলের সময় আবেদনকারীকে সকল সরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটের প্রযোজ্য ক্ষেত্র অনুযায়ী পছন্দক্রম বাধ্যতামূলকভাবে উল্লেখ করতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের তারিখ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ কর্মদিবসের মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটের ভর্তি প্রক্রিয়া (৩য় মাইগ্রেশনসহ) সম্পন্ন করতে হবে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর বেসরকারি মেডিকেল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ বা ডেন্টাল ইউনিটে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে।




