ফাইল ছবি
ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন স্লোগানে প্রতি বছরের মত এবারও অনুষ্ঠিত হয়ে গেল আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশ-২০২৩। উৎসবের পর্দা নেমেছে শনিবার । এদিন বিকেলে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ এর আয়োজনে ১৬তম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। এবার দুটি প্রতিযোগিতা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে পাঁচটি চলচ্চিত্র।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে তিনদিনব্যাপী এ উৎসবের অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ ছিল বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা। এ বিভাগে ১৭টি চলচ্চিত্র জমা পড়েছে, যার মধ্যে নির্বাচিত ৯টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। সেখান থেকে ৩টি চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে। বিশেষ চলচ্চিত্র বিভাগে জমা পড়া ৫টি চলচ্চিত্রের মধ্যে নির্বাচিত ২টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। তরুণ বাংলাদেশি নির্মাতা বিভাগে ৩৫টি চলচ্চিত্র জমা পড়ে। সেখান থেকে প্রদর্শিত হয় ১৫টি চলচ্চিত্র। আর পুরস্কার পায় ২টি চলচ্চিত্র।
আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে ২ হাজার ৭০০টির বেশি চলচ্চিত্র জমা পড়েছিল। সেখান থেকে প্রদর্শিত হয় ৭৫টি চলচ্চিত্র। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে প্রতিদিন বেলা ১১টা, দুপুর ২টা, ও সন্ধ্যা ৬টায়, মোট ৩টি করে প্রদর্শনী হয়েছে। এবারের উৎসবে ঢাকায় ২টি ভেন্যু, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তন ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ৩৯টি দেশের ১০১টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছে।
এবার শিশু নির্মাতাদের মধ্যে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে অমিত্রাক্ষর বিশ্বাস নির্মিত চলচ্চিত্র ‘লালাবাই’, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে মোহাম্মদ নিয়াজ হাসানের ছবি ‘অর্ডার’, তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে ইরতিজা আলম জয়িতা ও আমিনুল ইসলাম নিলয়ের ‘ইউফোরিক প্যারানয়া’। বাংলাদেশি তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় হয়েছেন যথাক্রমে মুসতাক মুজাহিদ [প্রথাসিদ্ধ], নভেরা হাসান নিক্কন [আগুয়ান সান বিহাইন্ড দ্য হরাইজন]। সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে খুদে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর।
প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উৎসবের সব প্রদর্শনী অভিভাবক, শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল। সিনেমা দেখার জন্য কোনো ধরনের প্রবেশমূল্য নেই। শিশু নির্মাতাদের চলচ্চিত্র বিচার কাজে জুরি বোর্ডের সবাই শিশু-কিশোর। অর্থাৎ ছোটদের নির্মিত শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলো বাছাই করবে ছোটরাই।