ছবি-বহুমাত্রিক.কম
কুষ্টিয়া : জেলার সদর উপজেলার পূর্ব আব্দালপুর গ্রামে “চাষি পর্যায়ে উন্নতমানের ডাল, তেল ও পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় বারি মসুর-৭ ফসলের উপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাঠ দিবস অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার কৃষিবিদ মোঃ আলী হাসান বলেন, ‘শুধু ভালো বীজ ব্যবহার করে যে কোনো ফসলের উৎপাদন ৩০% বৃদ্ধি করা সম্ভব।’
ভালো বীজের বৈশিষ্ট্যসমূহ কৃষকদের মাঝে তুলে ধরে তিনি বলেন, ভালো বীজ হচ্ছে মানসম্পন্ন বীজ। এ বীজে বিশুদ্ধতার হার অন্তত ৯৫%; পুষ্ট ও সুস্থ; তেজী চারা গজানোর ক্ষমতা; অংকুরোদগমের হার অন্তত ৮০%; আকর্ষণীয় চকচকে; ভালোভাবে শুকানো হতে হবে।’’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত), ডিএই, কুষ্টিয়া কৃষিবিদ ড. হায়াত মাহমুদ বলেন,‘ভাল বীজ জমিতে কম লাগে। ফলে উৎপাদন খরচ কম হয়। বীজ তাড়াতাড়ি গজায়। চারা প্রতিকূল আবহাওয়া সহ্য করতে পারে। ফসলের পোকা ও রোগবালাই কম হয়। এতে কৃষকের ফসল উৎপাদন খরচ কমে। ফসলের ফলন ও মান বাড়ে। কৃষক ফসল বিক্রি করে অধিক লাভবান হয়’।
অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ সেলিম হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ সজীব মূখার্জীসহ হরিনারায়নপুর ইউনিয়নের তিনজন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা।
মাঠ দিবসে প্রদর্শণী কৃষক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন ওরফে ঝান্টু খা জানান, তিনি ১ বিঘা জমির মসুর চাষ করে প্রায় ৭ মণ ফলন পেয়েছেন, বর্তমান বাজারে যার মূল্য প্রায় ২১হাজার টাকা। খরচা খরচ বাদে তিনি প্রায় ১৮হাজার টাকা লাভ করতে পেরেছেন।
বহুমাত্রিক.কম