Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

আষাঢ় ২৭ ১৪৩২, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫

নানা ইস্যুকে সামনে এনে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে: দুদু

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ১১ জুলাই ২০২৫

প্রিন্ট:

নানা ইস্যুকে সামনে এনে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে: দুদু

ফাইল ছবি

সংস্কার-বিচারের নানা ইস্যুকে সামনে এনে একটি মহল নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী নবীন দলের উদ্যোগে ‘২০১১ সলের ৬ জুলাই তৎকালীন বিরোধী দলীয় প্রধান হুইপ জয়নুল আবদিনসহ বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যদের ওপরে পুলিশি হামলার ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তা হারুনুর রশীদ ও বিপ্লব কুমার সরকারের বিচারের দাবিতে’ এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, কায়দা কৌশল করে সংস্কারের নামে, বিচারের নামে আরও কি কি সব ফেৎনা বিষয় সামনে এনে নির্বাচনটা কিভাবে ঠেকানো যায়, সেই বিবেচনা সামনে এনেছে। পাগলও বুঝে কারা আগামী দিন ক্ষমতায় যাবে। কিন্তু কিছু কিছু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী, তথাকথিত রাজনীতিবিদ, তথাকথিত বিশেষ মহল মনে করে তারা ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি এই প্রথম ক্ষমতায় যাবে, এটা কথা না। এর আগেও একাধিকবার বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে ভোটে জিতে ক্ষমতায় গেছে।

তিনি বলেন, স্বৈরতন্ত্র যেন আর বাংলাদেশে ফিরে আসতে না পারে। তার একমাত্র পথ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। গণতন্ত্র ছাড়া বাংলাদেশকে রক্ষা করা যাবে না, গণতন্ত্র ছাড়া মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া যাবে না, এই জিনিসটি বর্তমান সরকারকে মাথায় নিতে হবে। লন্ডনে আমাদের নেতা তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের পর আশার অবস্থা তৈরি হয়েছে যে, বাংলাদেশে নির্বাচন হবে, সেই অবস্থাটা এখন ধরে রাখতে হবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, যত দ্রুত সম্ভব ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম হোক, মাঝে হোক- একটি দিন ঘোষণা করতে হবে, একটি তারিখ ঘোষণা করতে হবে। তাহলে এখন যে অস্থিরতা-সংকট, আমরা মনে হয় অনেকাংশে সেটা কমে যাবে। 

দুদু বলেন, আওয়ামী  লীগের আগামী ১০০ বছরের মধ্যে ফিরে আসার কোনো সম্ভাবনা নাই। আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগকে হত্যা করেছে, খুন করেছে- সেই হত্যাকারী হচ্ছেন শেখ হাসিনা। 

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সংসদীয় পদ্ধতির উত্তরণ ঘটিয়েছিলো বিএনপি। আমরা শান্তির পক্ষে, আমরা গণতন্ত্রের পক্ষে, আমরা বহুদলীয় মতকে সম্মান জানানোর পক্ষে। আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে ঠিক তার উল্টো, সংসদকে অপবিত্র করার পক্ষে, বিরোধী দলকে নির্বংশ করার পক্ষে এবং ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য গণহত্যাসহ যা খুশি তা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে।

তিনি বলেন, দয়া করে একটু সংযত হোন গণতন্ত্রের স্বার্থে, সর্বদলীয় মতামতকে গ্রাহ্য করার স্বার্থে এবং জাতীয় একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দিকে আমরা যখন যাচ্ছি, সেটাকে দয়া করে কেউ বাধাগ্রস্ত করবেন না।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন আহমেদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান হারেস, ইসহাক আলী সরকার, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের জাকির হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।