ছবি: বহুমাত্রিক.কম
দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যান্য কেন্দ্রের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৩টি উপ কেন্দ্রেও সুষ্ঠুভাবে ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রে পরিক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. হোসনে আরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে উপস্থিতির হার ছিল ৮৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। পরীক্ষা শেষে অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হয়েছে।
কলা ও সমাজ বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের এ ভর্তি পরীক্ষায় ২২ টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছিল ৯৪ হাজার ৬৩১ জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আবেদন করেছিল ১৯ হাজার ৭৭৩ জন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় মূল কেন্দ্রে ১২ হাজার ৩৫২ জনের আসন বিন্যাস করা হয়েছিল।
এছড়াও জবি কেন্দ্রের আরও তিন উপকেন্দ্রে আসন বিন্যাস করা হয়েছল ৭ হাজার ৪২১ জন পরীক্ষার্থীর। এর মধ্যে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আসন বিন্যাস করা হয়েছিল ২ হাজার ৭২১জন, রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ৩ হাজার ২০০ জন ও মতিঝিল উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ১ হাজার ৫০০ জন পরীক্ষার্থীর।
এদিকে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কক্ষ পরিদর্শন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এসময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সহকারী প্রক্টরগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার যুগ্ম-আহ্বায়ক হিসেবে কোর কমিটির কাছে আমি আহ্বান করব, ভর্তি প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করে ক্লাস শুরু করার জন্য। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরবর্তী বার গুচ্ছে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন 'জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছে থাকবে কি থাকবে না সেটা আমার সিনিয়র শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের ওপর নির্ভর করবে যে, তারা কি চায়। আমি নতুন উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছি, সে অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার দায়িত্ব পালন করছি।’ পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে নানা প্রশাসনসহ সকল শিক্ষকরা কাজ করছে।