ছবি: সংগৃহীত
নেত্রকোনা: উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের আয়কর সনদ জমা দেওয়ার নিয়ম থাকায় বিপুল সম্পদের মালিক প্রার্থীরা বিপাকে। কেননা তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে মোটা অংকের আয়কর ফাঁকির অভিযোগ। নির্বাচনের প্রাক্কালে উৎকোচের বিনিময়ে এক শ্রেণীর অসাধু আয়কর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে কর ফাঁকি দেওয়া প্রার্থীরা নির্বাচনে যোগ্য হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। জেলার কেন্দুয়া উপজেলার প্রার্থীদের বিরুদ্ধে এই অপতৎপরতার অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে এসব তথ্য।
৪র্থ ধাপে নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অনেক প্রার্থী কর অফিসে হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছেন। কেননা বহু বছর ধরে সম্ভাব্য অধিকাংশ প্রার্থীগণ তাদের আয়কর জমা দেননি। কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে কেন্দুয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র আসাদুল হক ভূইয়া সর্বশেষ কেন্দুয়া পৌরসভায় মেয়র পদে নির্বাচনের সময় কর প্রদান করেছিলেন।
বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন ভূইয়াও সর্বশেষ কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার সময় সর্বশেষ কর দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরী কর প্রদান করলেও কর প্রদান ফাইলে উল্লেখিত সম্পত্তির সঙ্গে বাস্তবের বিস্তর ফারাক থাকার তথ্য রয়েছে বলে অভিযোগ। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে এখন পর্যন্ত একমাত্র নারী প্রার্থী সালমা আক্তার নিয়মিত কর প্রদান করে আসছেন, তার করের পরিমাণও বেশি। তার ব্যবহৃত গাড়িটিও ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ রয়েছে। তবে সম্পত্তির তথ্য যাচাই প্রয়োজন।
আরও জানা গেছে, বিএনপির একমাত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ভূইয়া দুলালের ট্যাক্স ফাইল রয়েছে। তবে তিনি তার আয়ের সঠিক কর প্রদান করেন না। কর কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশের মাধ্যমে করের টাকার পরিমাণ অস্বাভাবিক কমিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ইট ভাটার মালিক ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান পদের প্রার্থী মামুনুল কবীর খান হলিও গত কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতার সময় সর্বশেষ কর দিয়েছিলেন। অনুসন্ধানে প্রকাশ, এই প্রার্থীর কেন্দুয়া পৌরসভায় একটি বাড়ি রয়েছে যা তার ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করা নেই।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।