ঢাকা : টি-২০তে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস খেলেছিলো বাংলাদেশ কিন্তু সেটাও এদিন যথেষ্ট ছিলো না জয়ের জন্য।লঙ্কানদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৬ উইকেটের হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলো স্বাগতিকরা।
মূলত দ্বিতীয় ইনিংসের ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের। এই নয় ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০০ রান তোলে লঙ্কানরা। অপরদিকে নিজেদের ইনিংসের সপ্তম থেকে পনেরোতম ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারালেও বাংলাদেশ রান তোলে ৬৮। ১৫ ওভারে ১৬৭ রান তুলে ম্যাচের লাগামটা নিজেদের হাতে তুলে নেয় হাথুরুসিংহের শিষ্যরা।
বাংলাদেশের দেয়া বড় টার্গেটের বিপরীতে ব্যাটে নেমে শ্রীলঙ্কাকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার কুশাল মেন্ডিস এবং ধানুশকা গুনাথিলাকা। পাওয়ারপ্লেতে দ্রুত রান তুলে চাপে ফেলেছে বাংলাদেশকে।
গুনাথিলাকাকে নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক শিকারে পরিণত করেন নাজমুল ইসলাম অপু। মাত্র ১৫ বলে ৩০ রান করে স্ট্যাম্পিং হয়ে ফিরে যান তিনি।
আর ২৭ বলে ৫৩ করা কুশালকে ফেরান আফিফ হোসেন। এরপর অভিজ্ঞ উপথ থারাঙ্গাকে নিজের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন অপু। আফিফের হাতে ক্যাচ দেয়ার আগে ৪ রান করেন থারাঙ্গা। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়লেও সেটা খুব ভালোভাবেই সামাল দেন দাসুন সানাকা এবং থিসারা পেরেরা। ২৪ বলে ৪২ এবং ১৮ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন পেরেরা।
এরআগে টস জিতে আগে ব্যাট করে সৌম্য সরকার এবং মুশফিকুর রহিমের ফিফটিতে ১৯৩ রান করে টাইগাররা। টি-২০তে এটিই বাংলোদেশের সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংস।
এরআগে টি-২০তে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিলো ১৯০। ২০১২ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বেলফাস্টে ৫ উইকেট হারিয়ে এ রান তুলেছিলো টাইগাররা। আর লঙ্কানদের বিপক্ষে ২০১৩ সালে করা ১৮১ রানই ছিলো সর্বোচ্চ।
তামিমের বদলি হিসেবে দলে সুযোগ পাওয়া জাকির হাসান তেমন সুবিধা করতে পারেননি। মাত্র ১০ রানে গুনাথিলাকার বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান। তবে একপাশ থেকে ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আন্তর্জাতিক টি-২০তে ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক তুলে নেন সৌম্য।
তবে ৫১ রান করেই থামেন এ বাঁহাতি ওপেনার। দুই বল পরেই ফিরে যান আফিফ হোসেন। শূন্য রানে জীবন মেন্ডিসের বলে ক্যাচ আউট হওয়ায় ব্যাট হাতে অভিষেকটা তারও স্বরণীয় হলো না।
তিন বলে দুই উইকেট হারানোর পরেও রানের চাকা সচল রাখেন মুশফিকুর রহিম এবং অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
মুশফিকের সঙ্গে ৭৩রানের জুটি গড়ার পর ৪৩ রানে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ।
এদিকে ক্যরিয়ারসেরা ইনিংস খেলেন মুশফিক। ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ১৯৪/৪ ( কুশাল ৫৩, গুনাথিলাকা ৩০, সানাকা ৪২*, পেরেরা ৩৯*; নাজমুল ইসলাম ২/২৫)
বাংলাদেশ: ১৯৩/৫ (সৌম্য ৫১, মুশফিক ৬৬*, মাহমুদুল্লাহ ৪৩; জীবন মেন্ডিস ২/২১)
শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে জয়ী।