ঢাকা : গৌতম বুদ্ধের শুভ আবির্ভাব দিবস। বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রার্থনা চলছে। স্বাভাবিকভাবেই বুদ্ধ জন্মভূমি নেপালের লুম্বিনীতে চিরাচরিত প্রথায় বুদ্ধ বন্দনা হচ্ছে।
তবে ধ্যানমগ্ন সেই সন্ন্যাসীদের নাক-মুখ বিশেষ উপায়ে ঢেকে রাখা। কারণ বাতাসে দূষণ।লুম্বিনী নেপালের রূপমদেহী জেলায় অবস্থিত। খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩-এ রানী মায়াদেবী সিদ্ধার্থ গৌতমকে জন্ম দেন। তিনি খ্রিষ্টপূর্ব ৫৪৩ পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। লুম্বিনীতে গৌতম বুদ্ধ ২৯ বছর বয়স পর্যন্ত অবস্থান করেছিলেন। গবেষকদের দেওয়া তথ্যে উঠে এসেছে, লুম্বিনী নগর অতিরিক্ত বায়ুদূষণের ঘেরাটোপে।
বিবিসি-র খবরে আরও বলা হয়েছে, বুদ্ধভূমি নেপালে আক্রমণ চালিয়েছে বায়ুদূষণ। বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা এ ব্যাপারে চিন্তিত। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, দক্ষিণ পশ্চিম নেপালের লুম্বিনীর বায়ুতে প্রতি কিউবিক মিটারে দূষণের মাত্রা ১৭৩.০৩৫ মাইক্রোগ্রামস।
পার্শ্ববর্তী চিতওয়ান ও রাজধানী কাঠমান্ডুর বায়ুদূষণ বিশেষ চিন্তার কারণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) জানাচ্ছে, বাতাসে প্রতি কিউবিক মিটারে ২৫ মাইক্রোগ্রামস পর্যন্ত দূষণ মানব দেহ নিতে পারে। এই আন্তর্জাতিক মাত্রার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেপাল সরকার জাতীয় দূষণের মাত্রা ৪০ মাইক্রোগ্রামস পর্যন্ত ধার্য করে রেখেছে। এর থেকেই বুঝতে পারা যায়, লুম্বিনীর বায়ু কতটা বিষাক্ত।
লুম্বিনীর বাড়তে থাকা দূষণ নিয়ে চিন্তিত ইউনেস্কো। দূষণের কবলে পড়েছে বুদ্ধ জন্মস্থান নির্নয়কারক অতি প্রাচীন স্তম্ভটি। খ্রিষ্টপূর্ব ২৯৪-এ সম্রাট অশোকের নির্দেশে লুম্বিনীতে স্থাপন করা হয়েছিল এই স্তম্ভটি। দূষণের আক্রমণ থেকে সেই স্তম্ভটি রক্ষা করতে বিশেষ উদ্যোগী গবেষকরা।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, লুম্বিনীর বায়ু দূষণ এমনই যে সেখানে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট জনিত রোগের প্রকোপ। বৌদ্ধ সন্ন্যাসী ও পর্যটকরা জানিয়েছেন, এই পবিত্র স্থানে শ্বাস নেওয়া সত্যি কঠিন।
বিবিসি