বগুড়া : বগুড়া শাজাহানপুরের সাবরুল গ্রামে ভূয়া পুলিশ ভেবে ডিবি পুলিশের এক কনস্টেবল এবং সোর্স সহ ২জনকে আটক করে গন ধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় উপজেলার সাবরুল বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
এসময় কৌশলে একজন পালিয়ে যায়। বেলা ১২টার দিকে শাজাহানপুর থানা পুলিশ ও জেলা ডিবি পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। তবে জনগণের হাতে আটকের বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডিবি পুলিশ। এসআই কুদ্দুস ও কনস্টেবল মিজান মাদক মাদক ব্যবসায়ী গোলামকে ধরতে অভিযান চালিয়েছিলো বলে তাদের দাবী।
গোলামের মেয়ে শাজাহানপুর উপজেলা কৃষক লীগ নেত্রী গুলশান আকতার বিথী সহ পরিচয় গোপন রাখার শর্তে স্থানীয়রা জানান, সকালে গোলাম তালুকদার বাড়ির অদূড়ে একটি এনজিও থেকে ঋন নিতে যাচ্ছিলেন। এসময় সিভিল পোশাক পড়া ২ জন লোক এসে গোলামকে ধরে মারতে মারতে সিএনজি চালিত থ্রী-হুইলারে নিয়ে সাবরুল বাজারে আসেন। এসময় তারা গোলামকে ধরার কারন জিজ্ঞেস করেন এবং তাদের পরিচয় জানতে চান।
কথা বলার এক পর্যায়ে শত শত উৎসুক জনতা জমে যায় এবং ওই দুই জনের পরিচয় জানতে চান। ওই ২জন নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দেয় তবে পরিচয় পত্র দেখাতে ব্যার্থ হয়। এতে লোকজনের মধ্যে সন্দেহ হলে বাজারের শত শত লোকজন তাদের গন ধোলাই দেয়। এসময় কৌশলে একজন ডিবি পুলিশ পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে গনধোলাই খাওয়া ডিবি পুলিশকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
উল্লেখ্য গত ৩ মাস আগে ওই এলাকায় মাসুদুল হক পিন্টু নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ আটক করে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যায়। সেই ঘটনায় সেখানকার মানুষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। তার উপরে একজনকে ধরে প্রকাশ্যে মারপিট করা এবং পুলিশ পরিচয় দিলেও পরিচয় পত্র দেখাতে ব্যার্থ হওয়ায় ঐ ঘটনার সৃষ্টি হয়।
বগুড়া ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নূরে আলম সিদ্দিকী জানান, এসআই কুদ্দুস এবং কনস্টেবল মিজান ওই এলাকায় মাদক উদ্ধার করতে গিয়েছিলো। তবে পুলিশকে আটকের কোন ঘটনা ঘটে নাই।
এদিকে শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ডিবি পুলিশ জেলার যে কোন স্থানে অভিযান চালাতে পারে। তবে ওই স্থানে কি কাজে এসেছিলো সে ব্যপারে জানা নেই।
বহুমাত্রিক.কম