
ফাইল ছবি
গত জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। এ নিয়ে সেখানকার অভিবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
তবে যাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বৈধ নথি গ্রিন কার্ড আছে, তাদেরও নানা চাপে রাখছে ট্রাম্প প্রশাসন।
গ্রিন কার্ডধারীদের নতুন করে সতর্কতা দিয়ে মার্কিন প্রশাসন বলেছে, যারা বৈধ অভিবাসী আছেন, তারা ‘অতিথির’ মতো আচরণ করবেন। নয়তো আপনাদেরও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে। এ ছাড়া সবার ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
এমন সতর্কতার পর লাখ লাখ বৈধ অভিবাসীর মধ্যেও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে চলতি সপ্তাহে একটি পোস্টে দেশটির নাগরিক এবং অভিবাসী সেবা (ইউএসসিআইএস) এক সতর্কবার্তায় বলেছে, গ্রিন কার্ড থাকলেই যুক্তরাষ্ট্রে নির্বিঘ্নে থাকা যাবে এটির কোনো নিশ্চয়তা নেই। যদি গ্রিন কার্ডধারী কাউকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করা হয়, তাহলে তাদের বৈধ কাগজপত্র বাতিল করা হবে।
ইউএসসিআইএস আরও জানিয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও জননিরাপত্তার ঝুঁকি চিহ্নিত করার জন্য আমাদের শক্তিশালী সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই কর্মসূচি কখনো থামবে না। আমাদের জাতি ও জীবনযাত্রার জন্য হুমকিস্বরূপ যেকোনো অনলাইন তথ্য খুঁজে বের করার জন্য ইউএসসিআইএস সতর্ক রয়েছে।
গত মার্চে ইউএসসিআইএস ঘোষণা দিয়েছে যে শিগগিরই ভিসা ও গ্রিন কার্ড আবেদনকারীদের সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে, যা যাচাই প্রক্রিয়ার অংশ।
এই সতর্কতার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন বার্তা দিয়েছে তারা অভিবাসী সংক্রান্ত আইন কার্যকর আরও বিস্তার করবে। এর মধ্যে দেখা যাচ্ছে, শুধু অবৈধ অভিবাসীদেরই লক্ষ্য করা হবে না। সঙ্গে বৈধ অভিবাসীরাও আক্রান্ত হবে।
ইতোমধ্যে বৈধ অভিবাসীদের অনলাইন কার্যক্রম, তাদের মতাদর্শ ইত্যাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। এ ছাড়া বৈধ অভিবাসীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো এবং অনেককে যুক্তরাষ্ট্রে আর প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে যারা বহু বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, তারা ট্রাম্প প্রশাসনের এসব কার্যক্রম বাকস্বাধীনতা, নজরদারি এবং বৈধ অভিবাসীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধা প্রদানের বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।