
নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে ৪৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে টুইটার কিনে নেয়ার পর প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পরাগ আগরওয়ালসহ শীর্ষ তিন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেন ইলন মাস্ক। সেই সঙ্গে খরচ কমানোর জন্য টুইটারের অনেক কর্মীদের ছাঁটাই করেন বিশ্বের এ শীর্ষ ধনী ব্যক্তি। কিন্তু চাকরি হারানো এসব কর্মীর মধ্যে কয়েক ডজন কর্মীকে আবারও টুইটারে ফিরে আসার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।
ব্লুমবার্গের প্রকাশিত প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহে মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম টুইটারের মালিকানা নেয়ার পর ইলন মাস্ক প্রতিষ্ঠানে গণছাঁটাই করেন। প্রতিষ্ঠানটির একটি বড় অংশের কর্মীদের অগ্রিম বেতন দিয়ে ছাঁটাই করেন তিনি। তবে এর মধ্যে কিছু কর্মীকে আবারও ফিরে আসার অনুরোধ জানিয়ে ইমেল দেয়া হয়েছে। মূলত কর্মীদের ভুলবশত ছাঁটাই করা হয়েছিল। তাই তাদের আবারও ফিলে আসতে বলা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘যেসব কর্মীকে ফিরে আসার অনুরোধ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে ভুলবশত ছাঁটাই করা হয়েছে। এ কর্মীদের কাজ ও অভিজ্ঞতা মাস্কের পরিকল্পনা মোতাবেক যেসব ফিচার তৈরি করা হবে সেগুলোর তৈরির জন্য প্রয়োজন হবে। কোম্পানির ম্যানেজমেন্ট সেটি বুঝতে পারার আগেই এ কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়।’
এর আগে টুইটারের খরচ কমানোর জন্য এ সপ্তাহে মাত্র একটি ইমেলের মাধ্যমে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়। এমনকি চাকরি যে আর নেই তা টুইটারের এসব কর্মী তখন বুঝতে পারেন যখন তারা দেখেন যে, কোম্পানি অভ্যন্তরে ব্যবহৃত ইমেল ও স্ল্যাকের সিস্টেমে হঠাৎ করে আর অ্যাক্সেস করতে পারছেন না।
টুইটারে গণছাঁটাই প্রক্রিয়া যে কতটা তাড়াহুড়ায় করা হয়েছিল, তা কিছু কর্মীদের ফিরে আসতে বলার মাধ্যমে স্পষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে মন্তব্যে জন্য টুইটারের একজন মুখপাত্রের কাছে অনুরোধ করলেও কোনো সাড়া পাওয়ায় যায়নি বলে জানিয়েছে ব্লুমবার্গ।
টুইটার সংশ্লিষ্টদের মতে, মাস্কের গণছাঁটাই অভিযানের পরে টুইটারে বর্তমানে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ কর্মী আছেন। আর এসব কর্মীর ওপর কাজের ব্যাপক চাপ পড়ছে। এমনকি কিছু কিছু কর্মী কাজ শেষ করে অফিসেই দিনরাত পার করছেন, ঘুমাচ্ছেনও অফিসেই।