ফাইল ছবি
চার যুগের অপেক্ষার অবসানের লক্ষ্যে ইরানের শুরুটা হয়েছিল দারুণ। কিন্তু পিছিয়ে পড়ার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল কাতার। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে এশিয়ান কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল শিরোপাধারীরা। দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে বুধবার (০৭ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ৩-২ গোলে জিতেছে কাতার।
চতুর্থ মিনিটে ইরানকে এগিয়ে নেন সর্দার আজমাউন। সপ্তদশ মিনিটে জাসেম জাবের আব্দুলসালাম সমতা ফেরানোর পর প্রথমার্ধের শেষ দিকে কাতারকে এগিয়ে নেন আকরাম আফিফ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সফল স্পট কিকে সমতা ফেরান আলিরেজা জাহানবাখশ। ৮২তম মিনিটে আলমোয়েজ আলির জয়সূচক গোলে হাসিমুখে মাঠ ছাড়ে কাতার। শুজায়ে খলিলজাদেহর লাল কার্ডে যোগ করা সময়ে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ইরান প্রবল চেষ্টার পরও আরেকবার শেষ চার থেকে বিদায় নেয়।
১৯৬৮, ১৯৭২ ও ১৯৭৬ সালে টানা তিন শিরোপা জয়ে পর আর ফাইনালে উঠতে পারেনি ইরান। টানা দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে সপ্তমবার দলটি বিদায় নিল শেষ চার থেকে।
গতবার প্রথমবার ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করেছিল কাতার। মাত্র পঞ্চম দেশ হিসেবে টানা দুই আসরে শিরোপা জয়ের আশা জাগাল দেশটি। আগামী রোববার লুসাইল স্টেডিয়ামে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ জর্ডান। এবারই প্রথম ফাইনালে খেলবে দেশটি।
শুরুতেই এগিয়ে যায় ইরান। চমৎকার বাইসাইকেল কিকে খুব কাছে থেকে জাল খুঁজে নেন আজমাউন। ১৩ মিনিট পর দূরপাল্লার শটে বল জালে পাঠান কাতারের জাসেম জাবের। একজনের পায়ে লেগে মাথার উপর দিয়ে যাওয়া বল ঠেকাতে পারেননি ইরান গোলরক্ষক।
চমৎকার ফিনিশিংয়ে ৪৩তম মিনিটে কাতারকে এগিয়ে নেন আফিফ। তবে তাদের এই খুশি বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। হ্যান্ডবলের জন্য পেনাল্টি পেয়ে ৫১তম সমতা ফেরায় ইরান। জাহানবাখশের শট ঠেকাতে পারেননি কাতার গোলরক্ষক।
২০১৯ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা আলমোয়েজ এখানেও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে ওঠেন। ৮২তম মিনিটে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন তিনি। যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ভিএআর মনিটরে দেখে ইরানের খলিলজাদেহকে লাল কার্ড দেখান রেফারি। তাতে দমে যায়নি তিনবারের চ্যাম্পিয়নরা। একের পর এক আক্রমণে কাঁপিয়ে দেয় স্বাগতিকদের।
যোগ করা সময়ের চতুর্দশ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল ইরান, একটি শট ব্যর্থ হয় পোস্ট লেগে! পরের মিনিটে একজনের পায়ে লেগে বল প্রায় জালেই চলে যাচ্ছিল, ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকান কাতার গোলরক্ষক। নখকামড়ানো উত্তেজনার শেষে শুরু হয় শিরোপাধারীদের আবারও ফাইনালে ওঠার উৎসব।