
মাদক মামলায় যুবলীগ নেতা আরমানকে আদালতে নেওয়া হয়েছে। এদিকে যুবলীগ নেতা সম্রাটকে আদালতে নেওয়ার কথা থাকলেও শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তাকে আদালতে নেওয়া যাচ্ছে না বলে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এ সময় সুস্থতা সাপেক্ষে সম্রাটকে রিমান্ড ও শোন অ্যারেস্টের শুনানি ও মাদক মামলায় আরমানকে গ্রেফতার দেখানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
এর আগে, গত ৫ অক্টোবর গভীর রাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। ওই গ্রামের জামায়াত নেতা মনির চৌধুরীর বাড়ি থেকে সম্রাট ও আরমানকে আটক করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে নিয়ে ৬ অক্টোবর দিনভর রাজধানীতে সম্রাট ও আরমানের বাড়িতে অভিযান চালায় র্যাব।
মদ্যপ থাকায় আটকের সময়ই আরমানকে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর কাকরাইলের কার্যালয়ে বন্যপ্রাণীর চামড়া সংরক্ষণের দায়ে সম্রাটকেও একই মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর সম্রাটকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। আর আরমানের জায়গা হয় কুমিল্লা কারাগারে।
এ অবস্থায় সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রমনা মডেল থানায় র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে সম্রাটের নামে অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক দুইটি মামলা করেন। এর মধ্যে যুবলীগের সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও মাদক মামলায় আসামি করা হয়েছে।
সর্বশেষ সোমবার রাতে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয় সম্রাটকে। পরে সেখান থেকে তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসায় ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে কয়েকটি পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।