
ছবি: বহুমাত্রিক.কম
বনাঞ্চল ও বসতবাড়ির আশপাশে ঝোপজঙ্গলে মেছোবিড়ালের বিচরন যে কারো চোখে পড়ে। তবে হাঁস-মুরগ খাওয়া ফিশিং ক্ষেতে ক্ষতির কারণে মানুষের হাতে নানা সময়ে ধরা পড়ে শেয়াল ও মেছো বিড়ালের মৃত্যু হচ্ছে। এ থেকে উত্তরণে নতুন একটি রিসার্চের মাধ্যমে বর্ষা ও শীত মৌসুমে প্রাণিটির হোমরেঞ্জ দেখা, ব্যাপ্তি, ঘোরাফেরা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এজন্য একটি পুরুষ মেছো বিড়ালের গলায় স্যাটেলাইট কলার স্থাপন করেছে মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী বিভাগ। বিড়ালটির নাম দেয়া হয়েছে ‘স্বাধীন’।
মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২৫ মার্চ মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী বিভাগ থেকে নতুন একটি গবেষণা শুরু হয়েছে। মেছো বিড়ালের হোমরেঞ্জ দেখা, প্রাণিটির কতদূর ব্যাপ্তি থাকে, কতটুকু ঘোরাফেরা করে, কোন সিজনে থাকে, কখন মানুষের ঘরবাড়ির কাছে চলে যায়, কোন সময়ে ব্রিডিং করে, কোথায় কোথায় ব্রিডিং করে, বর্ষা ও শীত মৌসুমে কোথায় যায় সেসব বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে। এই গবেষণার সাথে সংযুক্ত রয়েছে বাংলাদেশ ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ও জাপানের একটি ইউনিভার্সিটি। ২৫ মার্চ রাতে প্রাণি মৌলভীবাজারের বনে অবমুক্ত করা হয়।
এব্যাপারে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের মৌলভীবাজারস্থ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নতুন এই গবেষণা আশাকরি খুব শিঘ্রী ভালো রেজাল্ট দেবে এবং মানুষ ও ফিসিংক্ষেতের দ্বন্ধ অনেকটা কমানো হবে এর তথ্য উপাত্ত থেকে। তিনি আরো বলেন, ২৭ মার্চ পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে যেখান থেকে প্রাণিটি অবমুক্ত করা হয়েছে সেখান থেকে ২ কি.মি. দূরে অবস্থান করছে।