যুক্তরাষ্ট্র সরকারের করা মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইকারী দেশগুলোর একটি তালিকায় বাংলাদেশ টায়ার-২ এ উন্নীত হওয়াকে বড় অর্জন হিসেবে অভিহিত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমারা এ দেশ থেকে মানবপাচার, শিশু পাচার, নারী পাচার এগুলো বন্ধ করতে চাই। সকলের সহায়তা ছাড়া আমরা এটি করতে পারবো না।
২৬ জুন ওই রিপোর্ট বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এক ভিডিও বার্তায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা বুঝে শুনে আপনাদের সন্তানদেরকে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাবেন না। আর অবৈধভাবে কেউ বিদেশ পাঠানোর কথা বললে পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে তা অবগত করুন। কয়েকদিন পরপরই মানবপাচারের ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশি মারা গেছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
মন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে যারা যায় তাদের মা-বাবা, আত্নীয়-স্বজনও দায়বদ্ধতার বাইরে না। আপনারা জেনেশুনে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাবেন না। কেউ যদি অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব দেয় তবে স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরামর্শ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে বিভিন্ন মানবপাচারের ঘটনার সঙ্গে বাংলাদেশিদের জড়িত থাকার কারণে এবং দেশের ভেতরে এ ধরনের অপরাধের বিচারে অপর্যাপ্ত ব্যবস্থার কারণে গত তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে দ্বিতীয় স্থরের নজরদারি তালিকায় ছিল বাংলাদেশ। এ বছর পরিস্থিতির উন্নয়ন হওয়ায় নজরদারির তালিকা থেকে উন্নীত হয়ে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থরে উঠে এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্র মানবপাচার রিপোর্টে চারটি ক্যাটাগরিতে দেশগুলোকে ভাগ করা হয়। এগুলো হচ্ছে- প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, দ্বিতীয় স্তর নজরদারি (ওয়াচলিস্ট) ও তৃতীয় স্তর।