
ছবি: সংগৃহীত
চাঁদপুর জেলার হাইমচরে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। এই পদে লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩ জনের বিষয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযোগ উঠেছে, মৌখিক পরীক্ষায় বসার অপেক্ষায় থাকা ৩ পরীক্ষার্থীর নিকটাত্মীয় ও চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুমের পিয়ন (এমএলএসএস) ঝর্ণা সরকারের কারসাজিতে ওই ৩ পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষা উতরে মৌখিক পরীক্ষায় বসার অপেক্ষা করছেন।
সূত্রের খবর, প্রকৃতপক্ষে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র আগেই ওই পরীক্ষার্থীরা পেয়ে যান রেকর্ড রুমের ওই পিয়নের মাধ্যমে। অসদুপায়ে প্রশ্নপত্র পেয়ে যাওয়া ওই পরীক্ষার্থীরা সহজেই পেরিয়ে যান লিখিত পরীক্ষার পর্ব। এবার মৌখিক পরীক্ষায় উতরে যেতে পারলেই তাদের চাকুরি নিশ্চিত!
চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের রেকর্ড রুমের পিয়ন (এমএলএসএস) ঝর্ণা সরকারে বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে এমন অভিযোগ উঠেছে একাধিকবার। পূর্বে একই পন্থায় চাকুরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কেউ কেউ বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলে ঘটনা জানাজানি হয়। পূর্বে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চাকুরি রক্ষা করা গেলেও ক্ষতিগ্রস্তরা তার এধরণের কর্মকাণ্ড অনুসরণ করে এবারের ৩ জনের প্রসঙ্গটি সামনে আনেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, ঝর্ণা সরকারের কারসাজিতে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপ উতরে যাওয়া ওই তিনজন হলেন-সুদেব অধিকারী, সুব্রত সরকার ও প্রিয়াংকা বাইন। আগামী শুক্রবার তাদের মৌখিক পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে ঝর্ণা সরকার বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। ৩ জনের কথা বলা হচ্ছে আমি তাদের চিনি না, তারা আমার আত্মীয় নয়। ’
এবিষয়ে চাঁদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোস্তাফিজুর রহমান বুধবার দুপুরে বলেন, ‘উচ্চ আদালতের রিটের একটি কপি এসেছে প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ এর মৌখিক পরীক্ষা বন্ধের জন্য। যদিও আমরা মন্ত্রণালয়ের কোন নির্দেশনা এখনো পাইনি।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমাদের জেলা প্রশাসনের কোন কর্মচারীর বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ থাকে, সেটা আমাদের জানালে আমরা নিশ্চয়ই তা শুনব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’