ছবি- সংগৃহীত
চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনীর ২১টি জাহাজ, হেলিকপ্টার ও মেরিটাইম পেট্রোল এয়ারক্রাফট (এমপিএ)। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবেলায় চট্টগ্রাম কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন উপকূলীয় এলাকার বসবাসকারীদের আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য সতর্ক করছেন নৌবাহিনীর সদস্যরা।
সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তায় এসব জাহাজগুলোকে ত্রাণ সামগ্রীসহ প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উপকূলীয় দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শনিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। আইএসপিআর জানায়, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় নৌবাহিনীর এমপিএ ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এমপিএ ও হেলিকপ্টারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জাহাজ ও কন্টিনজেন্টগুলো বঙ্গোপসাগরে অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা চালাবে।
প্রথম ধাপে উদ্ধার কাজের জন্য বানৌজা সমুদ্র জয় ও ধলেশ্বরী-কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ এলাকায়, বানৌজা শাপলা-কুতুবদিয়া ও বহিঃনোঙ্গর এলাকায়, বানৌজা হাতিয়া এবং এলসিটি ১০৩-সন্দীপ ও হাতিয়া সংলগ্ন এলাকায়, এলসিভিপি ১১-পটুয়াখালী এলাকায়, এলসিটি ১০৫-পিরোজপুর ও বরগুনা এলাকায় নিয়োজিত থাকবে। খুলনার মোংলায় বানৌজা শৈবাল, বঙ্গবন্ধু, প্রত্যয়, স্বাধীনতা, প্রত্যাশা এবং নির্মূল জরুরি অনুসন্ধান ও উদ্ধারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পাগলায় বানৌজা অপরাজেয়, অতন্দ্র, সুরভী, অদম্য ও পদ্মাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী দুর্গত এলাকাগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তায় বিশেষ মেডিকেল টিম ওষুধ, স্যালাইন ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকবে। ঝড়ের তীব্রতা ও আঘাতের প্রকোপ পর্যবেক্ষণের পর দ্বিতীয় ধাপে নৌবাহিনীর অতিরিক্ত জাহাজ এবং কন্টিনজেন্টগুলোকে মোতায়েন করা হবে বলেও জানায় আইএসপিআর।