শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্সের’ করা ২০২৩ সালের প্রথম সংস্করণের শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে। গত বছর শক্তিশালী পাসপোর্টের এই সূচকে বাংলাদেশ যৌথভাবে ১০৪তম অবস্থানে থাকলেও এবারে তিন ধাপ উন্নতি হয়েছে।
মঙ্গলবার বিশ্বের ১৯৯টি দেশের পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক এই পরামর্শক প্রতিষ্ঠান।
হ্যানলির পাসপোর্ট সূচকের সর্বশেষ সংস্করণে কিছু দেশের পাসপোর্ট একই অবস্থানে রয়েছে ও মোট ১০৯টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এবারের সূচকে বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে ১০১তম স্থানে আছে লিবিয়া ও কসোভো। এর আগে, ২০২২ সালের সূচকে বাংলাদেশের পাসপোর্ট সূচকে অবস্থান ছিলো ১০৪তম।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় ব্যাপক বিপর্যস্ত ইরান, অর্থনৈতিকভাবে বিধ্বস্ত লেবানন, শ্রীলঙ্কা ও সংঘাতে জর্জরিত সুদানের পাসপোর্ট বাংলাদেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে। এই সূচকে ইরান ৯৯তম, লেবানন, কঙ্গো, শ্রীলঙ্কা ও সুদান যৌথভাবে ১০০তম স্থানে রয়েছে।
হ্যানলি পাসপোর্ট সূচক-২০২৩ অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ৪১টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করা যায়।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে নেপাল (১০৩তম), পাকিস্তান (১০৬তম) ও আফগানিস্তানের (১০৯তম) তুলনায় ভালো অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশের পাসপোর্ট। তবে এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। সূচকে ৬১তম স্থানে থাকা মালদ্বীপের নাগরিকরা ৮৯টি দেশে ভিসামুক্ত অথবা অন-অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত ৮৫তম স্থানে আছে। ভারতের নাগরিকরা বিশ্বের ৫৯টি দেশে ভিসা ছাড়া কিংবা অন অ্যারাইভাল ভিসায় ভ্রমণ করতে পারেন। অন্যদিকে, গত বছরের তুলনায় একধাপ উন্নতি ঘটেছে ভুটানের। ৯০তম স্থানে থাকা ভুটানের নাগরিকরা ৫৩টি দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
