
ছবি-বহুমাত্রিক.কম
কুষ্টিয়া : কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাকিলাদহ গ্রামের কৃষক আফতাব উদ্দিন এবার ১২ বিঘা জমিতে থাই পেয়ারা-৩ আবাদ করেছে। তার বাগানে বিষমুক্ত পেয়ারা চাষ করে এখন আগের চেয়ে অনেকটাই স্বাবলম্বী। বাগানে থোকায় থোকায় ধরে থাকা পেয়ারা এখন তার ভাগ্য বদলের হাতছানির ডাক দিচ্ছে।
কৃষক আফতাব উদ্দিন জানান, নিজের ১২বিঘা ২০১৫ সালের মার্চে বগুড়া হর্টিকালচার থেকে ১৭ টাকা দরে প্রায় সাড়ে ২৭০০ থাই পেয়ারার চারা এনে রোপণ করেন। এর আট মাসের মাথায় ফলন পাওয়া শুরু করেন। বছরে দুবার গাছে ফল আসে। তবে বর্ষাকালে ফল বেশি হলেও দাম কম হয়। প্রতিদিন ৫জন করে শ্রমিক এই বাগানে পরিচর্যা করে থাকে। মাঝে মাঝে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ানো লাগে বলেও জানান তিনি।
তার বাগানে পোকামাকড় দমনে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করেন না। কেবল কৃষি বিভাগের পরামর্শে ভিটামিন-জাতীয় কিছু ওষুধ প্রয়োগ করেন। এ ছাড়া পোকামাকড় ঠেকাতে পেয়ারা একটু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পলিথিন ব্যাগে ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাগানের প্রতিদিন কর্মরত এক শ্রমিক জানান, এখানে নিয়মিত ভালো পারিশ্রমিক পান। এতে সংসারে সুদিন ফিরেছে। দুটি ছেলেমেয়েকে পড়ালেখা শেখাচ্ছেন। মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রমেশ চন্দ্র ঘোষ জানান, বিষমুক্ত এ পেয়ারার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
তিনি জানান, মুজিবনগর সমন্বিত কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ও মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় থাই পেয়ারা-৩ জাতের প্রদর্শণী স্থাপন করা হয়েছে এই আফতাব উদ্দিনের বাগানে। সেখান থেকে তিনি ১২ বিঘাতে পেয়ারা বাগান সম্প্রসারণ ঘটিয়েছেন। বিষমুক্ত উপায়ে পেয়ারা উৎপাদন করতে ব্যগিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুফল পাচ্ছেন।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেন বলেন, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন উপজেলায় বিষমুক্ত পেয়ারাবাগান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকরা। তিনি অন্য কৃষকদের এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বিষমুক্ত পেয়ারা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। সম্প্রতি সেই পেয়ারা বাগান পরিদর্শন করেন মিরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রমেশ চন্দ্র ঘোষ, পাবনা হর্টিকালচার সেন্টারেরট্রেনিং অফিসার জলি আক্তার। বিষমুক্ত পেয়ারা ক্রয় করতে চাইলে কৃষক মোঃ আফতাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১১-১৫৯১০৭ এই মোবাইল ফোন নম্বরে।
বহুমাত্রিক.কম