
ফাইল ছবি
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বাস বা মিনিবাস চলাচলের অনুমতি রয়েছে। তবে অনুমতি থাকা সত্ত্বেও এ সড়কে চলাচলের ব্যাপারে বাসের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট বাস-মিনিবাস কোম্পানির মালিকেরা বলছেন, এ সড়ক দিয়ে চললে পর্যাপ্ত যাত্রী পাওয়া যাবে না। মূলত, এ কারণেই দ্রুতগতির উড়ালসড়কে বাস-মিনিবাস উঠছে না।
যদিও সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসি এ সড়কে কিছু বাস চালু করার চিন্তাভাবনা করছে। কিন্তু সংস্থাটির সূত্র বলছে, এক্সপ্রেসওয়েতে বাস চালু করা লাভজনক হবে না।
যানজট এড়িয়ে ঢাকার উত্তর-দক্ষিণমুখী যানবাহনের যাতায়াত নিশ্চিতে এ সড়কের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশ সম্প্রতি চালু হয়েছে। দ্রুতগতির এ সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছের কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত চালু হওয়া অংশের দূরত্ব সাড়ে ১১ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৫টি স্থানে ওঠানামা করার ব্যবস্থা (র্যাম্প) আছে। বিমানবন্দর এলাকায় দুটি, কুড়িলে তিনটি, বনানীতে চারটি, মহাখালীতে তিনটি, বিজয় সরণিতে দুটি ও ফার্মগেট এলাকায় একটি ওঠানামার জায়গা আছে। তবে মহাখালী ও বনানী ১১ নম্বর দিয়ে নামার পথ দুটি পরে চালু হবে।
উড়ালসড়ক দিয়ে ৮ ধরনের যানবাহন চলাচলের অনুমতি রয়েছে। এগুলো মধ্যে রয়েছে বাস, মিনিবাস, কার (সেডান), মাইক্রোবাস, স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকেল (এসইউভি, যা জিপ নামে পরিচিত), কয়েক ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক ও পিকআপ। মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ তিন চাকার যান ও বাইসাইকেল চলাচলের অনুমতি নেই। পথচারীদেরও চলাচলের অনুমতি নেই।
প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেতু বিভাগ। সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, চালুর প্রথম তিন দিনে উড়ালসড়কটি দিয়ে ৪৮ হাজার ৭৩৯টি যানবাহন চলাচল করেছে। এতে আয় হয়েছে ৩৯ লাখ ৯৩ হাজার টাকা। তবে এ কয় দিনে হাতে গোনা কয়েকটি বাস চলাচল করে থাকতে পারে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের।
বর্তমানে মহাখালী বাসটার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কিছু বাস এই উড়ালসড়ক দিয়ে চলাচলের সুযোগ রয়েছে। তবে মহাখালী বাসটার্মিনালের সামনে উড়ালসড়ক থেকে নামার পথ চালু হলেও ওঠার পথ এখনও চালু হয়নি। তাই ওঠার পথটি চালু হলে অল্প কিছু দূরপাল্লার বাস চলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।