
ছবি- সংগৃহীত
মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ভয়াবহু ভূমিকম্পের পর যতই সময় গড়াচ্ছে, মৃতের সংখ্যা ততই বাড়ছে। এরই মধ্যে সেই সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। গুরুতর আহতের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০০-তে। খবর আল জাজিরার।
প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টার দিকে দেশটির মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। একে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প বলে অভিহিত করা হচ্ছে।
শনিবার রাতে এ প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১ হাজার ৩৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। আহত হয়েছে আরও এক হাজার ২০০ জন। উদ্ধার অভিযান চলছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। দেশটির কর্মকর্তারা বলছেন, অধিকাংশ মানুষ মারা গেছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায়। উদ্ধার অভিযানে ওই অঞ্চলে পৌঁছানো বেশ কঠিন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ও রাস্তায় ধ্বংসস্তূপের ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রকাশ করা হয়েছে ধ্বংসযজ্ঞের ছবি। মারাক্কেশ শহরের পুরনো অংশে কিছু ভবন ধ্বসে পড়েছে বলে সেখানকার একজন অধিবাসী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে।
এদিকে এই ভূমিকম্পের পর মরক্কোর প্রতি হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পার্শবর্তী দেশ আলজেরিয়া। দেশটিতে যাতে মানবিক সহায়তা পাঠানো সহজ হয়, সেজন্য আলজেরিয়া তাদের এয়ারস্পেস তথা আকাশপথ ব্যবহার করতে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
মরর্কোর এই ভূমিকম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে তুরস্ক ও সিরিয়ায়র ভয়াবহ ভূমিকম্পের কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। ৬ ফেব্রুয়ারির ওই ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১০টি প্রদেশ কার্যত ধ্বংস হয়ে যায়। হাজার হাজার বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে হাজার হাজার মানুষ।এটাকে তুরস্কের ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প হিসেবে অভিহিত করা হয়। রিপোর্ট মতে, ওই ভূমিকম্পে ৫৯ হাজার ২৫৯ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে তুরস্কে ৫০ হাজার ৭৮৩ জন। বাকী ৮ হাজার ৪৭৬ জন সিরিয়ায়।