
ছবি- সংগৃহীত
আবারও শোকের ছায়া সংগীতজগতে। মারা গেছেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী বাণী জয়রাম। ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যু হয় তার। চেন্নাইয়ে নিজের বাড়ি নুঙ্গামবাক্কামেতেই মারা গেছেন গায়িকা।
চেন্নাই পুলিশের বরাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এই সময়ের খবরে বলা হয়েছে, বাণী জয়রাম বাড়িতে একা ছিলেন। তার গৃহপরিচারক শনিবার সকালে এসে দেখেন ভিতর থেকে বাড়ির দরজা বন্ধ। বারবার বেল বাজিয়েও কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় তার। এরপর তিনি প্রতিবেশীর বাড়ি যান, এবং তারা বাণী জয়রামের বোন ঊমাকে ফোন করেন। খবর দেন পুলিশেও। ততক্ষণে এসে পৌঁছন শিল্পীর বোনও। এরপর পুলিশ এসে বাণী জয়রামের বাড়ির দরজা খোলেন।
পুলিশ সূত্রের খবরে আরও বলা হয়, প্রথমে ধারণা করা হচ্ছিল, জয়রাম পড়ে গিয়ে টেবিলে লেগে মাথায় চোট পান। কপালে হালকা ক্ষতচিহ্ন দেখতে পাওয়া গেছে। সরকারি রয়াপেট্টা হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য। পুলিশ এটিকে অস্বাভাবিক মৃত্যু হিসেবে বিবেচনা করছেন এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
কেরিয়ারে একের পর এক বিখ্যাত গান গেয়ে বাণী জয়রাম বারবার মুগ্ধ করেছেন শ্রোতাদের। প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি। সংগীত শিল্পীর এমন আকস্মিক প্রয়ানে শোকের ছায়া সংগীত জগতে।
মূলত দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন চলচ্চিত্রে তার গান শোনা গেছে। শ্রোতাদের অসাধারণ কিছু গান উপহার দিয়ে বারবার মুগ্ধ করেছেন তিনি। তামিল, তেলেগু, হিন্দি, উর্দু, মারাঠি, বাংলা, কন্নড়, মালয়ালম ভোজপুরি থেকে ওড়িয়া, টুলুর মতো যাবতীয় ভাষায় গান গেয়েছেন বাণী জয়রাম। দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে শ্রোতাদের মন জয় করে এসেছেন তিনি। নারী প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন বাণী জয়রাম। এমন স্বনামধন্য শিল্পীর রহস্যজনক মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তার তা নিয়ে এখনও রহস্য রয়েছে। ঘটনাস্থলে চেন্নাই পুলিশের থাউসেন্ড লাইটস থানার আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছেন ইতোমধ্যেই। শুরু হয়েছে তদন্ত।
কালিভানিতে জন্ম হয়েছিল বাণীর। একেবারে ক্ল্যাসিকাল সংগীতের ঘরানায় তার বেড়ে ওঠা। ১৯৭১ সালে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে প্রথম গান করেন তিনি। এমএস বিশ্বনাথন, কেভি মহাদেভনের মতো জনপ্রিয় কম্পোজারদের সুরে গান গান। বছর খানেক আগেই মারা যান তার স্বামী। নিঃসন্তান ছিলেন বাণী জয়রাম।