ঢাকা : এ পরম্পরা কয়েক দশক পুরনো। অমিতাভ-রেখার সখ্যতা নিয়ে বহু জল্পনা-কল্পনা হয়েছে। আজও রেখাকে এড়িয়েই চলেন জয়া-অমিতাভ। অভিষেক-শ্বেতাকেও তেমনভাবে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়নি। ব্যতিক্রম কেবল ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
বচ্চন পরিবারের বধূর সঙ্গে বরাবরই ভাল সম্পর্ক রেখার। তাঁকে ‘মা’ বলেও সম্বোধন করেন অ্যাশ। এই সম্পর্কের খাতিরেই ঐশ্বরিয়াকে খোলা চিঠি লিখলেন তাঁর ‘রেখা মা’। জানালেন নিজের মনের কথা।১৯৯৪ সালে বিশ্ব সুন্দরীর তকমা পান ঐশ্বরিয়া। ৯৭ সালে মণিরত্নমের ‘ইরুভার’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। তারপর থেকেই বলিউডে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন।
প্রায় দুই দশক অভিনয় জগতে কাটিয়ে ফেলেছেন অ্যাশ। সে কারণেই ফেমিনার প্রচ্ছদে উঠে এসেছে তাঁর ছবি।এই অবসরেই নিজের প্রিয় অ্যাশকে খোলা চিঠি লিখলেন। জানালেন, নিজেদের প্রথম সাক্ষাতের কথা যেদিন প্রায় ঐশ্বরিয়ার মুখ থেকে চোখ ফেরাতে পারছিলেন না রেখা।
মানুষের ভুলে যাওয়াটা স্বভাব। তাই মানুষ একদিন ভুলে যাবে তাঁর কীর্তির কথা। কিন্তু সিনেমায় যে ছাপ তিনি রেখেছেন তা বড়পর্দার ইতিহাসে অমর করে তুলবে তাঁকে। কতবার নিঃশ্বাস নিলাম তা জীবন নয়। জীবনে কতবার দমবন্ধ করা আনন্দ পেয়েছেন, সেটাই বড় ব্যাপার।নদীর মতো নিজের গতিতে বয়ে গিয়েছেন ঐশ্বরিয়া। অনেকটা পথ পেরিয়েছেন। নিজের মেহনতে জীবনে সাফল্য পেয়েছেন।
পেশাগত জীবনে যেমন আত্মসম্মান বজায় রেখেছেন, তেমনই পরিবারকে প্রাধান্য দিয়েছেন। তবে তাঁর জীবনের সবচেয়ে সুন্দর চরিত্রটি ‘আম্মা’র বলেই মনে করেন রেখা। আরাধ্যার মতো সন্তান পাওয়াটা ভাগ্যের ব্যাপার। কে কী বলল তার তোয়াক্কা না করে নিজের কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন অ্যাশের ‘রেখা মা’। শেষে ভালবাসা ও আশির্বাদ দিতেও ভোলেননি। সংবাদপ্রতিদিন