
ফাইল ছবি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ৯০টিরও বেশি দেশকে লক্ষ্য করে ঘোষিত ব্যাপক শুল্ক বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর থেকে কার্যকর হয়েছে। এ ঘটনা বাণিজ্য যুদ্ধে একটি বড় মাত্রা যোগ করেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
ট্রুথ সোশালে দেয়া এক বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, ‘এখন মধ্যরাত! বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শুল্ক এখন থেকে আমেরিকায় প্রবাহিত হচ্ছে!’ এর আগের দিন বুধবার ট্রাম্প লিখেছেন, পারস্পরিক শুল্কগুলো আজ (বুধবার) রাত ১২টা থেকে কার্যকর হচ্ছে! বহু বছর ধরে যারা আমেরিকার সুযোগ নিচ্ছিল, হাসাহাসি করছিল, তাদের কাছ থেকে বিলিয়ন ডলার এখন যুক্তরাষ্ট্রে আসবে।
প্রথম ধাপে ভারতকে ২৫ শতাংশ শুল্কের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে বুধবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটি দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করেছেন। এর মধ্যে অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে ২১ দিনের একটি সময়সীমা পার হওয়ার পর। হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ১লা আগস্ট ঘোষিত ২৫ শতাংশ পারস্পরিক শুল্কের উপরে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক যুক্ত করা হবে, যাতে রাশিয়ার কর্মকাণ্ড থেকে উদ্ভূত জাতীয় জরুরি অবস্থা মোকাবিলা করা যায়। এই শুল্ককে ‘প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
কারণ ভারতের রাশিয়ান তেল সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আমদানি জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই নতুন শুল্ক ব্যবস্থার ফলে আগের ন্যূনতম ১০ শতাংশের বদলে এখন দেশের ভিত্তিতে হার আলাদা। সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে ব্রাজিলে শতকরা ৫০ ভাগ। লাওস ও মিয়ানমারে ৪০ ভাগ। সুইজারল্যান্ডে ৩৯ ভাগ। ইরাক ও সার্বিয়ায় ৩৫ ভাগ। ১৫ ভাগের বেশি শুল্ক ধরা হয়েছে ২১টি দেশে। এর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ শতকরা ২০ ভাগ, ভিয়েতনাম ২০ ভাগ, তাইওয়ান ২০ ভাগ, ভারত ২৫ ভাগ, থাইল্যান্ড ১৯ ভাগ।
ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আমদানিকৃত সেমিকন্ডাক্টরের ওপর প্রায় ১০০ ভাগ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে, একটি বড় ছাড় থাকছে। যারা যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদন করছে বা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তাদের ওপর শুল্ক প্রযোজ্য হবে না। ট্রাম্প বলেন, অ্যাপলের মতো কোম্পানি যারা যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করেছে, তাদের কোনো চার্জ দিতে হবে না। তবে তিনি সতর্ক করেন- যদি কেউ বলে তারা উৎপাদন করবে কিন্তু না করে, তাহলে আমরা সেটি হিসাব রাখব এবং পরবর্তীতে শুল্ক আদায় করব- এটা নিশ্চিত।