
ফাইল ছবি
বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়ন এবং পানি ব্যবস্থাপনা খাতে ১০৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।
বাংলাদেশের বিশুদ্ধ পানি ব্যবস্থাপনা খাতে এডিবি আগে আরও ঋণ দিয়ে থাকলেও, এবার বৃহৎ পরিসরে পানি এবং কৃষিখাতে ঋণ দিচ্ছেন তারা। মূলত জলবায়ু সংকট সামাল দিতে এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে এ ঋণ দিচ্ছে আর্থিক সংস্থাটি।
এ ব্যাপারে এডিবি বুধবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নতুন এ ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশের ৪২টি জেলা সরাসরি উপকারভোগীর তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। এর ফলে জেলাগুলোর ২ লাখ ২০ হাজার হেক্টর জমির ৭৭ শতাংশ মানুষের বন্যা ও খরার ক্ষতি প্রশমনের সুবিধা, সেচ সুবিধা এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত হবে।
এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে এ ঋণের অর্থে নতুন করে ১০৫টি পানি ব্যবস্থাপনা স্থাপনার উন্নয়ন এবং পুরানো ২৩০টিকে আগের তুলনায় শক্তিশালী করে তোলা হবে বলে জানিয়েছে এডিবি।
তাছাড়া জরুরি ভিত্তিতে কক্সবাজারের বাঁকখালি রাবার বাগানের উন্নয়ন এবং ওই এলাকায় ১১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়ক নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
এবিষয়ে এডিবির জেষ্ঠ্য পানি ব্যবস্থাপনা বিশ্লেষক ওলিভিয়ার দিরিউ বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেকেরও বেশি জনগোষ্ঠী গ্রামে বাস করেন এবং এরা প্রায় সবাই কমবেশি কৃষিখাতের ওপর নির্ভরশীল। পরিকল্পিত পানি ব্যবস্থাপনার অভাব এবং জলবায়ু সংকটের কারণে এদের জীবন সংকটাপন্ন। এডিবির এই প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করা সম্ভব হবে
বিশেষ করে সেচ সুবিধা ও কৃষি উন্নয়নের ফলে এসব এলাকার ৩ লাখ ৮০ হাজার মানুষ সরাসরি সুবিধা ভোগ করতে পারবে বলে জানান তিনি।
এডিবির পাশাপাশি এ প্রকল্পে আরও অর্থায়ন করছে আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (আইআইইডি), নেদারল্যান্ডসের সরকার এবং বাংলাদেশের সরকার। প্রকল্পে আইআইইডি থেকে ৪২ দশমিক ৯৮ মিলিয়ন ডলার, কারিগরি সহায়তাসহ নেদারল্যান্ডসের পক্ষ থেকে ১৭ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ৫৮ দশমিক ২২ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করা হচ্ছে।
১৯৬৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এডিবির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৬৮টি। মূলত এশিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উন্নয়নে এডিবি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।