
শৈল শহর দার্জিলিংয়ের মাথায় সংযোজিত হল আর একটি নতুন মুকুট। গতকাল পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির পরিকল্পনাশ্রুত কফি হাউসের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়ে গেলো দার্জিলিংয়ে বুকে।
তিন মাস আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দার্জিলিংয়ে এসে রাজভবনের পাশে দ্য রিট্টিট হোটেলের সৌন্দর্য দেখে নতুন করে মুগ্ধ হয়েছিলেন। দার্জিলিংয়ের পর্যটকরা যাতে সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে তাই রিট্টিটের ছাদে একটা মুক্ত কফি হাউস গড়ে তোলার জন্য মমতা আহ্বান জানিয়েছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কর্ণধার সত্যম রায়চৌধুরিকে।
সেবার মমতা ব্যানার্জি এই প্রস্তাবিত কফি হাউসের নাম `ক্যাফে হাউস` হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই চাওয়াকে তিন মাসের মধ্যে বাস্তবে রূপ দিয়ে দেখালেন সত্যমবাবু। ঠিক তিন মাসের মাথাতেই মমতার উপস্থিতিতে ‘ক্যাফে হাউস’ পথচলা শুরু করল মঙ্গলবার থেকে। যেখানে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর মেঘেদের লুকোচুরি খেলা দেখার মাঝেই গরম কফিতে চুমুক দিতে পারবেন পর্যটকরা। আর কথা দিয়ে কথা রাখায় সত্যম রায়চৌধুরির ভূয়সী প্রশংসা করলেন মমতা স্বয়ং।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘অনেকের কাজ করার একটা প্যাশান থাকে। কেউ কেউ কথা বলে কিন্তু করে না। তবে সত্যমের মধ্যে আমি উদ্যম দেখেছি। সত্যম স্কুল তৈরি করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেছে, আজকাল কাগজ দেখাশোনা করে, অনেক বই লিখেছে। আর দার্জিলিংয়ের যে `ক্যাফে হাউস` তৈরি করল, তা কলকাতার কফি হাউস, মান্না দে`কে স্মরণ করবে। পর্যটকদের বলব, আগামী দিনে এখানে একবার আসতেই হবে। বাংলার ছোঁয়া পেতে গেলে, রাজ্যের ছোঁয়া পেতে গেলে, দেশের ছোঁয়া পেতে গেলে, বাংলার মা মাটি মানুষের ছোঁয়া পেতে গেলে আর কফি হাউসের আড্ডাটার সেই গানের ছোঁয়া পেতে গেলে এখানে এসে বসতে হবে।
’সত্যম রায়চৌধুরি বলেন, ‘দিদি যেখানে যেটা করেন সেটা ঐতিহাসিক জায়গা হয়ে যায়। এটা সব জায়গায় দেখেছি। কীভাবে হয় নিজেরাই জানি না। আমাদের পরম সৌভাগ্য, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন `ক্যাফে হাউস`-এর শুরুর দিনে। তিনমাস আগের সেই দিনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সত্যমবাবু বলেন, কীভাবে মুখ্যমন্ত্রী `ক্যাফে হাউস`-এর থিম সং লিখেছিলেন।