
বিশ্বকাপের নিরাপত্তায় শুরু থেকেই কাতারকে সহযোগিতা করে আসছিল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা। এবার সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের ৮টি জেট বিমান। মাটি এবং পানির পর এবার আকাশ পথে পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে এ ব্যবস্থা নিয়েছে কাতার প্রশাসন। কাতারের বিমান বাহিনীর সঙ্গে মিলিতভাবে একটি টাস্কফোর্স এই পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করছে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে কাতারে খেলা দেখতে আসা নিয়ে সমর্থকদের মনে ছিল নানা সংশয়। কিন্তু কাতারে আসার পর অনেকেরই এ ধারণা পরিবর্তন হয়ে গেছে। কাতার প্রশাসনও সমর্থকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
মরুর বুকে প্রথম বিশ্বকাপের নিরাপত্তায় শুরু থেকেই কাজ করে আসছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , ইতালি, ফ্রান্স, পাকিস্তান এবং তুরুস্কের সামরিক বাহিনীসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। আসরের ফাইনালকে সামনে রেখে এবার আকাশ পথে নিরাপত্তার জন্য কাজ করবে ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের ৮টি জেট বিমান। খেলা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিমানগুলো নিরাপত্তার কাজে নেমে যাবে।
এই বিমানগুলো টুয়েলভ স্কোয়াড্রনের অংশ, যা যৌথভাবে ২০১৮ সালে ক্রয় করে ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ার ফোর্স এবং কাতারি এমিরি এয়ার ফোর্স। পরে সেগুলোকে প্রশিক্ষণের জন্য রাখা হয় ধুহখান এয়ারবেসে।
ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের কর্মকর্তারা বলেন, ‘কাতার এমিরি এয়ারফোর্স আমদের সংস্থারই অংশীদার। আমরা আকাশপথে বিভিন্ন প্লাটফর্মে কাজ করছি। এবার আমাদের কাজ কাতারে ফুটবল বিশ্বকাপে। আমরা এখানে সশস্ত্রভাবে আকাশ পথে নিরাপত্তার ভূমিকায় আছি। আপনারা আমাদের টাইফুনের সঙ্গে দেখতে পাবেন। টাইফুন একটি প্রতিরক্ষা ফাইটার এয়ারক্রাফট। আমারা যদি আমাদের কাজটি ভালোভাবে চালিয়ে যেতে পারি, তাহলে সমর্থকরা খেলাগুলো খুব ভালোভাবে উপভোগ করতে পারবেন।’
তারা আরও বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কিছু নেই ,আমরা কাতারের বন্ধু হিসেবে তাদের সহযোগিতা করতে এসেছি। অতএব আমরা এখানে সবমময় সবকিছুর জন্য প্রস্তুত থাকছি।’
এদিকে, বিশ্বকপে সংস্থাগুলোর সহযোগিতা পেয়ে তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কাতার এমেরি এয়ার ফোর্সের ক্যাপটেন তালাল বুরসাইড।
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি বিশ্বাস করি, সামরিক বাহিনী আমাদের অনেক সহযোগিতা করছে। গত ১০ বছর বিশ্বকাপে যেমন উন্মাদনা বেড়েছে, তেমনি হুমকিও বেড়েছে। আর আমরা সাধারণভাবে এ সংস্থার অংশ, এ সংস্থা বিশ্বকাপের আগেও আমাদের বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা করেছে।’
এছাড়া কাতার বিশ্বকাপে নিরাপত্তার জন্য ব্রিটিশ সামরিক নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং কাতারের জলসীমায় তিনটি রয়্যাল নেভি হান্টার ও লজিস্টিক জাহাজ পরিচালনার জন্য যুক্তরাজ্যও ৫৫০ জন কর্মী মোতায়েন করেছে।