ছবি- সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জামিনে মুক্ত হয়েছেন। সোমবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন। এ সময় কারাফটকে ভিড় জমানো কর্মী সমর্থকরা তাকে স্বাগত জানান।
গত ২৮ অক্টোবরের পর মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে ১০টি মামলায় জামিন পেলেও নাশকতার ঘটনায় রাজধানীর রমনা থানায় করা একটি মামলায় তার জামিন আটকে ছিল। অবশেষে এদিন ১০ হাজার টাকা মুচলেকায় তিনি ওই মামলায়ও জামিন পান।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী রোববার জানিয়েছিলেন, গত ২৮ অক্টোবরের পর রাজধানীর পল্টন থানায় মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা হয়। আর রমনা থানায় মামলা হয় চারটি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ঢাকা রেলওয়ে থানায় আরও একটি মামলা হয়। রোববার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় তিনি জামিন পান। এ নিয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার মামলা বাদে ১০টি মামলায় জামিন মেলে মির্জা আব্বাসের।
গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে শাহজাহানপুর থানার নাশকতা ও বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৩১ অক্টোবর রাতে ঢাকার শহীদবাগ থেকে মির্জা আব্বাসকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে এ মামলায় গত ১ নভেম্বর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ৫ নভেম্বর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গেল ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। একই দিন কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্যসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।