ফাইল ছবি
সাগরে আগামী সোমবারের মধ্যে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। শনিবার এই পূর্বাভাস জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, লঘুচাপের প্রভাবে রবিবার রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘২৭ নভেম্বরের মধ্যে সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এতে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে।
অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, ৩১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, সোমবারের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও আশপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরে আরো ঘনীভূত হয়ে লঘুচাপটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর (আইএমডি) আজ শনিবার জানিয়েছে, রবিবারের মধ্যে দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং আশপাশের অঞ্চলে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হতে পারে। এর প্রভাবে সোমবারের দিকে দক্ষিণ আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এরপর তা আরো পশ্চিম, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে আগামী ২৯ নভেম্বরের দিকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয় আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সম্ভাব্য লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ২৯ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে।
১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা গভীর নিম্নচাপ এবং ২ থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। ৩ থেকে ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এটি উপকূলে আঘাত করতে পারে।
মোস্তফা কামাল বলেন, আমেরিকার গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম মডেল শুরু থেকেই পূর্বাভাস দিচ্ছে, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকার ও মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মধ্যবর্তী কোনো এলাকার ওপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত করতে পারে। অন্যদিকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ইন্টিগ্রেটেড ফোরকাস্ট সিস্টেম আবহাওয়া মডেল অনুসারে, এটি ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ কিংবা ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।