ফাইল ছবি
জিনিস মজুত রেখে বা লুকিয়ে রেখে যারা ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়, তাদের গণধোলাই দেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার গণভবনে জার্মানি সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন,নির্বাচন বানচালে ব্যর্থ হয়ে একটি শ্রেণি জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর চক্রান্ত করছে। যারা সরকার উৎখাতে আন্দোলন করছে, তারা ভোগ্যপণ্যের বাজারেও কারসাজি করছে। প্রথমে বাজারে পেঁয়াজের খুব অভাব দেখা গেলেও পরে বস্তাকে বস্তা পেঁয়াজ পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। এ ধরনের লোকদের গণধোলাই দেয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা কিছু করলে বলবে, সরকার করেছে। পাবলিক যদি প্রতিকার করে, তাহলে সব থেকে ভালো, কেউ কিছু বলবে না। জিনিস লুকিয়ে রেখে পঁচিয়ে ফেলে দেবে, আর দাম বাড়াবে।’
এ সময় সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম বুলবুল প্রেস ক্লাবের সভাপতিকে সংসদ সদস্য করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। তার প্রশ্নের সময় মজা করে শেখ হাসিনা হাসতে হাসতে বলেন, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতিকে দুই দুবার সংসদে এমপি করেছি। এবার বর্তমান সভাপতিকে সংরক্ষিত আসনে এমপি করেছি। কেনো করেছি জানেন না? যাতে সাংবাদিকরা আমাদের সমালোচনা করতে না পারে।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চার দিনের সরকারি সফরে জার্মানির মিউনিখে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। পাশাপাশি তিনি বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে বহন করা ফ্লাইটটি অবতরণ করে।