
ফাইল ছবি
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই গোল্ড সুকের আরভ জুয়েলার্সের মালিক আলোচিত আরাভ খানের দুদিন ধরে হদিস মিলছে না। তিনি দুবাইয়ে আছেন নাকি দুবাই ছেড়ে গেছেন, সে বিষয়েও কেউ সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না। সাকিব আল হাসানকে দিয়ে উদ্বোধন করা সেই আলোচিত জুয়েলারিও বন্ধ দুদিন ধরে।
গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ঝড় তোলার পর হঠাৎই যেন শীতল হাওয়া বইছে আরাভ খান ইস্যুতে। দুদিন ধরে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না আলোচিত এই ব্যবসায়ীর। এ ছাড়া আরাভ জুয়েলার্স বন্ধের পাশাপাশি দোকানটির ভেতরে থাকা কথিত ৬০ কেজি ওজনের স্বর্ণের বাজপাখির লোগো সেখানে আছে কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়।
অনেকে মনে করছেন, ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারির খবর শুনে আরাভ খান গা ঢাকা দিয়েছেন। কেউ কেউ মনে করছেন, আরাভ খান গ্রেপ্তারও হতে পারেন। আবার কেউ দাবি করেছেন, তিনি পুলিশি নজরদারিতে রয়েছেন। তবে তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, আরাভ তার দুবাইয়ের বাসায়ই অবস্থান করছেন।
এদিকে বাংলাদেশ পুলিশ ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারির খবর জানালেও, এই পদ্ধতিতে আরাভ খানকে বাংলাদেশে নেয়া যাবে কি না, তা নিয়েও রয়েছে সংশয়। কারণ, ইন্টারপোলের ওয়েবপেজে দেখা যায়, বেশ কয়েক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের আরও দুজন ইন্টারপোল পুলিশের আসামি রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশ তাদের ফিরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেও, এখনও তারা আমিরাতে অবস্থান করছেন। এ ক্ষেত্রে দেশটি থেকে ইন্টারপোলের মাধ্যমে আরাভ খানকে নিয়ে যাওয়া বা তাকে আটক করা যাবে কি না, তা-ও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি আরাভ খান ভারতীয় পাসপোর্টধারী হওয়ায় বাংলাদেশের আবেদন ইন্টারপোলে কার্যকরের বিষয়টি নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বি এম জামাল হোসেন বলেন, ‘আমার জানামতে আরাভ খান শুধু পুলিশের নয়, সবার নজরদারিতে রয়েছেন। তবে তার ব্যাপারে মিশনের ওপর কোনো দায়িত্বভার পড়লে, তা যথাযথভাবে পালন করা হবে।’