
ছবি- সংগৃহীত
দীর্ঘদিন পর সচিবালয়ে অফিস করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টায় সচিবালয়ে যান তিনি। এর পর ছয় নম্বর ভবনে নিজের কার্যালয়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন।
দুপুর ২টা ২২ মিনিটে সচিবালয় থেকে বেরিয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে তার (প্রধানমন্ত্রী) কোনো কাজ ছিল না। তিনি কিছু সময় বসেছেন। তবে কোনো বৈঠক হয়নি।’
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ জানুয়ারি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অফিস করেন শেখ হাসিনা। তখন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।
সাধারণত প্রতি সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠক হয়। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী চাইলে যেকোনো দিন মন্ত্রিসভার বৈঠক আহ্বান করতে পারেন। সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ছাড়াও সংসদ ভবন সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সচিবালয়ে যাওয়ার আগে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিতে নয় ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য এবার চারজন স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন। তারা হলেন: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল সামসুল আলম, প্রয়াত লেফটেন্যান্ট এ জি মোহাম্মদ খুরশীদ ও শহিদ খাজা নিজাউদ্দিন ভূঁইয়া।
সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিতে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন প্রয়াত নাট্যকার ড. মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন আহমেদ (সেলিম আল দীন)।
সংস্কৃতিতে পবিত্র মোহন দে, ক্রীড়ায় সাবেক ক্রিকেটার এ এস এম রকিবুল হাসান, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে নাহিদা জাহান (সুরমা জাহিদ) ও ড. ফিরদৌসী কাদরীকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
সমাজসেবা-জনসেবায় অবদানের স্বীকৃতিতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবার স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।