
দেশের ১৭ জেলার ২৪ হাজার ৭৬১ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাথমিকভাবে ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মার্ট আইডি কার্ড’ পাচ্ছেন। একইসঙ্গে ৪৬ হাজার ৮০৩ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ‘ডিজিটাল সার্টিফিকেট’ পেতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ১৭টি জেলার ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড প্রিন্টিং কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী দেড় মাসের মধ্যে বাকি ৪৭টি জেলার ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং স্মার্ট আইডি কার্ডের প্রিন্টিং কাজ সম্পন্ন হবে।
প্রাথমিকভাবে যে জেলাগুলোর বীর মুক্তিযোদ্ধারা ‘মুক্তিযোদ্ধা স্মার্ট আইডি কার্ড’ এবং ডিজিটাল সার্টিফিকেট পাচ্ছেন তারমধ্যে রয়েছে- কিশোরগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, নড়াইল, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, ঢাকা, শরীয়তপুর, মেহেরপুর ও নারায়ণগঞ্জ।
প্রথম দফার ৪৬ হাজার ৮০৩ জন ডিজিটাল সার্টিফিকেটধারীর মধ্যে জীবিত ২৪ হাজার ৭৬১ এবং মৃত ২২ হাজার ৪২ জন বলেও জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়া বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট এবং স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণের এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের স্মার্ট আইডি কার্ড ও ডিজিটাল সার্টিফিকেট প্রতিটি উপজেলায় নির্বাহী অফিসার, মহানগরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিতরণ করা হবে। জেলাভিত্তিক সার্টিফিকেট ও কার্ড মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে (www.molwa.gov.bd) প্রকাশিত তালিকা যাচাই করে এটি বিতরণ করতে হবে।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খাজা মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান। অনুষ্ঠানে ১৭টি জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।