
ফাইল ছবি
বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রথমবারের মতো ডিম, আলু ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েছে সরকার। ফলে এখন থেকে প্রতিটি ফার্মের ডিম ১২ টাকা, আলু খুচরা পর্যায়ে ৩৫-৩৬ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজের দাম হবে ৬৪-৬৫ টাকা। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে এ তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, সয়াবিন তেলের লিটারেও পাঁচ টাকা কমানো হয়েছে। আজকের (বৃহস্পতিবার) ঘোষণার পর সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হবে।
কৃষি ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার চেয়ে চট্টগ্রামে আলুর দাম একটু বাড়তে পারে। সারাদেশকে বিবেচনায় নিয়েই ভোক্তা পর্যায়ে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কোল্ড স্টোরেজ গেটে আলুর দাম হবে ২৬-২৭ টাকা কেজি। আর খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের যৌক্তিক সর্বোচ্চ মূল্য প্রতিকেজি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা হবে। তবে স্থানভেদে এক টাকা ব্যবধান হয়। ডিমের উৎপাদন খরচ সাড়ে ১০ টাকা হওয়ায় আমরা এটার দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করেছি। ভারতের দামের খবর নিয়েছি এবং ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সুপারিশে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার, ডিসি আজ থেকে বাজার মনিটরিং করবে।
তিনি আরও বলেন বলেন, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭৪ টাকা থেকে পাঁচ টাকা কমিয়ে ১৬৯ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর পামতেলে ১২৮ টাকা থেকে ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দুই-একদিনের মধ্যে এই দাম কার্যকর হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে প্রতিকেজি খোলা চিনির দাম ১২০ ও প্যাকেটজাত ১৩৫ টাকা। এটা এখনো কমানোর মতো অবস্থা হয়নি। ভারত থেকে আনতে পারলে দাম কম পড়ত।
এদিকে সীমিত পর্যায়ে ডিম আমদানির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। গতকাল এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাব জানায়, এই সিদ্ধান্তে প্রতিটি ডিম ১২ টাকায় বা তার কমে ভোক্তারা কিনতে পারবেন। ফলে বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা তৈরি হবে এবং বাজার একটি স্থিতিশীল পর্যায়ে পৌঁছাবে। এ ছাড়া পেঁয়াজ, আলু ও সয়াবিন তেলের দাম কমানোর জন্যও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ক্যাব।