Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১২ ১৪৩১, শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪

কবি নজরুলের আন্তর্জাতিকীকরণ

ড. মো: হুমায়ুন কবীর

প্রকাশিত: ২৩:২৮, ২৫ মে ২০২২

আপডেট: ১২:১৬, ২৬ মে ২০২২

প্রিন্ট:

কবি নজরুলের আন্তর্জাতিকীকরণ

কবি নজরুলকে বাংলাদেশের সকল পর্যায়ের মানুষই চেনেন। কারণ তাঁর কবি সত্তা এবং গান, কবিতা ও অন্যসকল সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষও কিছু না কিছু ধারণা রাখেন। হয়তো নজরুল বোদ্ধা নজরুল গবেষক, নজরুল বিশেষজ্ঞ, নজরুল প্রেমী ছাড়া ভিতরের নজরুলকে অনেকে বুঝতে পারেন না। আর সেভাবে জানতে বা চিনতে হলে নজরুল সাহিত্য পড়তে হবে। থাকতে হবে নজরুল অনুরাগ। কী ধর্ম নিরপেক্ষতা, কী সাম্যবাদ, কী দ্রোহ, কী প্রেম, কী বিরহ, কী সৌখিনতা.... কী নেই নজরুল সাহিত্যে ? বরং আশ্চর্যই হতে হয় তাঁর এসব অমর সৃষ্টি দেখে। কারণ তাঁর সক্রিয় সাহিত্য রচনাকাল ছিল সর্বোচ্চ ২৫ বছর। যতই নজরুল সাহিত্য পড়া যায় মনে হয় যেন তাঁকে আবার নতুনভাবে আবিষ্কার করা হলো। এই যে এতসব সাহিত্যকর্ম বিভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে, বিভিন্ন ধর্মকে উপলক্ষ্য করে, বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতিকে বিবেচনায় নিয়ে করেছেন তা সেসব দেশ, ভাষা, সংস্কৃতির কাছে অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে।

কবি নজরুলের নামে বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংগঠন গড়ে উঠেছে। কিন্তু সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান নজরুল চর্চাকে সামনের দিকে এগোনোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আর বাকী সকলেই যে নজরুল চর্চা করছে কিংবা নজরুল চর্চাকে উৎসাহিত করছে এমনটি খোঁজে পাওয়া কঠিন। তারা শুধু কেবলমাত্র নামটিই ব্যবহার করেছে বলা চলে। কিন্তু এক্ষেত্রে ত্রিশালের বিষয়টি একটু আলাদা। কারণ যেহেতু ত্রিশালের লোক হিসেবে কাজী রফিজউল্লাহ্ দারোগা সাহেব কিশোর নজরুলকে ত্রিশালের মাটিতে এনেছিলেন, সেজন্য ত্রিশালের সর্বস্তরের মানুষের মনে কবি নজরুলের প্রতি ভাবাবেগ অন্যরকম।

কবি নজরুলের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় ত্রিশালের মাটিতে স্থাপনের দাবী বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের। অবশেষে অনেক উদ্যোগী, ত্যাগী, নি:স্বার্থ মানুষের পরিশ্রমের ফসল হিসেবে ত্রিশালের মাটিতেই ২০০৬ সালের ৯ মে ১৮ নং আইনটি জাতীয় সংসদে পাশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় কবির নামে ‘জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়’। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়টি যে উদ্দেশ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল তা আর ঠিক থাকেনি। কারণ কবি নজরুলের নামে এটি একটি সাংস্কৃতিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়ে যায় কবির নামেই একটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেমন বিভিন্ন মনীষীর নামে বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে থাকে যেখানে ঐ মনীষীর নামে কোন গবেষণা হয়না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন, আইন, কলা ইত্যাদি বিষয় সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় হলো ত্রিশালের মানুষের নজরুলের প্রতি অনুরাগ, প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে উদ্যোগীদের ইচ্ছা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন---ইত্যাদির সমন্বয় ঘটিয়ে এখানে নজরুলের জীবন ও কর্মভিত্তিক বিভিন্ন বিষয় অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যেমন এখানে এখন রয়েছে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, সংগীত বিভাগ, নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগ, চারুকলা বিভাগ, ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ---ইত্যাদি পারফর্মিং আর্টস সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে চালু করা হয়েছে। এখানে প্রত্যেক অনুষদের প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীরা যাতে নজরুল সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা রাখে সেজন্য প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য নজরুল স্টাডিজ নামক ১০০ নম্বরের একটি কমন কোর্স সবার জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আর কবির নামে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে নিয়েই এখানে নজরুল গবেষণা বেগবান করা হচ্ছে। নজরুল গবেষণা যাতে আরো বেশি বেগবান হয় সেজন্য সেখানে ‘ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ’ নামে ডেডিকেটেড একটি নজরুল গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সেখানে নজরুলের উপর সার্টিফিকেট কোর্স, ডিপ্লোমা কোর্স, মাস্টার্স, এমফিল, পি-এইচ.ডি. ইত্যাদি বিভিন্ন গবেষণামূলক ডিগ্রি অফারের প্রক্রিয়া কোনটা চলমান আবার কোনটা সামনে চালুর প্রক্রিয়াকরণ করা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে ইন্সটিটিউট অব নজরুল স্টাডিজ-ই এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরুল গবেষণার এক পথিকৃৎ প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্টা লাভ করবে। আর এর মাধ্যমেই নজরুলকে বহির্বিশ্বে পরিচিত করার সুযোগ রয়েছে।

নজরুলকে বহির্বিশ্বে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরার জন্য প্রয়োজন আন্তর্জাতিকভাবে বিভিন্ন নজরুল গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে চুক্তি সম্পাদন করা। সেসব চুক্তির শর্ত অনুযায়ী প্রথমে নজরুল সাহিত্যকে অনুবাদের ব্যবস্থা করা। কোন সাহিত্য কর্মকে অনুবাদ করলেই তা বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের কাছে বোধগম্য হয়ে উঠে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বিশ্বকবি খ্যাত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি তাঁর গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থটি ‘দ্য সং অফ অফারিংস’ নামে ইংরেজিতে অনুবাদ না করতেন এবং ব্রিটিশ লেখক ডব্লিউ. বি. ইয়েটস্ যদি ইংরেজিতে এর ভূমিকা না লিখতেন তাহলে হয়তো তিনি নোবেল পুরস্কার নাও পেতে পারতেন। কাজেই ইংরেজি একটি প্রমাণ আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার কারণে এবং সেটি ইংরেজিতেই অনূদিত হওয়ার জন্য বাংলা সাহিত্যের এমন বিশ্ব স্বীকৃতি ও সমৃদ্ধি ঘটেছে।

কবি নজরুল নিজে কিন্তু অনেক বিদেশি ভাষার সাহিত্যকর্ম বাংলায় অনুবাদ করেছেন। কাজেই নজরুলকে আমরা যারা ভালবাসি, নজরুলকে আমরা যারা শুধুমাত্র বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে সীমাবদ্ধ না রেখে বিশ্ব পরিম-লে পরিচিত করতে চাই তাঁদের প্রথম ও প্রধান কাজ হলো নজরুল সাহিত্যেকে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা এবং সেটি যাতে সহজেই হতে পারে তারও ব্যবস্থা নেওয়া। দেশ-বিদেশের কে এ ব্যাপারে কি করছেন তা আমরা যেভাবেই বিশ্লেষণ করিনা কেন আমাদের এই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ নিয়ে অনেক পরিকল্পনা রয়েছে। এসব পরিকল্পনা মোতাবেক ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে এবং আগামী দিনে তা আরো বেগবান হবে বলে আশা রাখি।

এ ব্যাপারে সবচেয়ে একটি অশাপ্রদ বিষয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর, যিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ যাবৎ নিযুক্ত উপাচার্যগণের মধ্যে একমাত্র নজরুল গবেষক ও বিশেষজ্ঞ। নজরুল সম্পর্কে ওনার জ্ঞানের পরিধি দেখে আমি ব্যক্তিগতভাবে তো বটেই-- সবাই আত্মতুষ্ট। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে অদ্যাবদি প্রত্যেক নজরুল জয়ন্তীতে অথবা নজরুলের প্রয়াণ দিবসের উদযাপিত অনুষ্ঠানাদিতে তিনি বিশেষজ্ঞ অতিথি হিসেবে এ ক্যাম্পাসে আসেননি এমনটি মনে করা কঠিন। আর এখন যেহেতু তিনি নিজেই এ প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ, কাজেই তাঁর গৃহীত পরিকল্পনা মোতাবেক এগোলে আমরা অনেক দূর এগোতে পারবো বলে আমাদের বিশ্বাস।

নজরুলকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা স্মারক চুক্তি (Memorandum of Understanding- MoU) স্বাক্ষর করেছি। তার একটি হলো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বর্ধমান জেলার কবিতীর্থ খ্যাত আসানসোলে কবির জন্মস্থানে স্থাপিত ‘কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়’ এর সাথে অপরটি হলো নজরুলের সাহিত্যে বহুবার আসা কবি ফেরদৌসি ও সিরাজীর দেশ ইরানের কবি ফেরদৌসির নামে প্রতিষ্ঠিত ‘ফেরদৌসি ইউনিভার্সিটি অব মাশাদ’ এর সাথে। এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়টি সম্পূর্ণ নজরুলকে ঘিরে। এসব চুক্তির প্রধানতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে শুধুমাত্র কবি নজরুলকে তাঁদের দেশ ও ভাষাতে তুলে ধরা।
অপরদিকে আরো দুটি বিভাগের কাজের সাথেও আন্তর্জাতিক দুটি সমঝোতা স্মারক চুক্তি হয়েছে ।

সে দুটির একটি হলো এ বিশ্বদ্যিালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাথে চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একং আরেকটি হলো চারুকলা বিভাগের সাথে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এ দুটি চুক্তি যদিওবা স্ব-স্ব বিভাগের কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য করা হয়েছে, তথাপি এখানে চুক্তিটি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে হয়েছে, কাজেই সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম হিসেবে কিন্তু কবি নজরুলকেই প্রতিনিধিত্ব করা হয়েছে। সেখানেও কবি নজরুলকেই আন্তর্জাতিকীকরণ করা হয়েছে।

ইতোমধ্যে সৌদি আরবের একটি বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় যার র‌্যাংকিং বিশ্বের প্রথম সারির দিকে সেটি ‘কিং আব্দুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়’। এ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সোদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে আমাদের জাতীয় কবির ইসলামী গান ও গজল অনুবাদ করে তাদের দেশ-উপযোগী হিসেবে তা সেখানে ছড়িয়ে দেওয়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত আগ্রহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে সম্মতি জানিয়ে রেখেছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে হয়তো এতদিন তাদের পক্ষ থেকে কোন রেসপন্স পাওয়া না গেলেও স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে যেকোন সময় চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আয়োজন হতে পারে।

তাছাড়া প্রতিবছরই নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেল হতে অনেক গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়ে থাকে যেখানে নজরুল সাহিত্য অনুবাদের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে। এভাবেই বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুলকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর নজরুল নামীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এটিই অন্যতম প্রধান কাজ যা আমি আগেই উল্লেখ করেছি। আমরা নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের সকল সহকর্মীদেরকে নিয়ে বিজ্ঞান, বাণিজ্য, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন ও কলার পাশাপাশি নজরুলকে সামনের দিকে আন্তর্জাতিকভাবে আরো বেশি পরিচিত করার ব্রত নিয়েছি। আর নজরুলের পরিবার এবং এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ব্যক্তিগণও এ বিশ্ববিদ্যালয়কে এভাবেই দেখতে চান। আমরা আন্তর্জাতিক এসব চুক্তিগুলো বাস্তবায়ন করতে পারলে হয়তো আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে।

এবারের ১২৩তম নজরুল জয়ন্তীর সাথে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করতে যাচ্ছে। আর সেটি হলো বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগে নজরুলের বাংলাদেশে আগমনের সুবর্ণ জয়ন্তী অর্থাৎ ৫০ বছর পূুর্তি। এটি নি:সন্দেহে একটি অভুতপূর্ব সম্মিলন যেখানে মুজিব শতবর্ষ, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অর্থাৎ ৫০ বছর এবং একইসাথে কবি নজরুলেরও প্রথম কাব্যগ্রন্থ অগ্নি-বীণার শতবর্ষ। অপরদিকে বিদ্রোহী কবিতার শতবর্ষ কিছুদিন আগে পালিত হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নজরুল সম্মেলনের মাধ্যমে ১২৩ তম নজরুল জয়ন্তী পালন করছি আমরা। এগুলোর মাধ্যমে অবশ্যই নজরুুল সাহিত্যের আন্তর্জাতিক পরিচিত আরো বাড়ানো সম্ভব হবে।
*লেখক: রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ
email: [email protected]

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer