
দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন খাত বালি ও রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জের বাতাম এবং বিনতানে পর্যটকদের জন্য তাদের দুয়ার খুলে দিচ্ছে। দেশটির অর্থনীতির চাকা সচল করতে চলতি মাসের ১৪ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বালি ও রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জকে দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে বলে জানান দেশটির জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী লুহুত পান্ডজাইতান।
স্থানীয় সময় সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ১৮টি দেশের দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এজন্য স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং সিঙ্গাপুর এই তালিকায় অনুমোদিত দেশগুলোর মধ্যে নেই।
ইন্দোনেশিয়ার এ পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে বেড়ানোর জন্য পর্যটকদের ইন্দোনেশিয়া পৌঁছার পর বাধ্যতামূলকভাবে ৫ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। একই সাথে কোভিড-১৯ চিকিৎসা বীমা থাকতে হবে এবং হোটেল কোয়ারেন্টাইনের জন্য অগ্রিম অর্থ প্রদান করতে হবে।
অনুমোদিত তালিকায় থাকা ১৮টি দেশের নাম উল্লেখ করা না হলেও মন্ত্রী জানান, খুব শিগগিরই অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী টিটো কারনাভিয়ান এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করবেন।
মহামারির কারণে গত দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো জিডিপি কমেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়ার। আর এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্যই নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। গত বছর বাতাম ও বিনতানে বিদেশি পর্যটক সংখ্যা ৮৬ শতাংশ হ্রাস পায়। এতে পর্যটন শিল্পের ওপর বেঁচে থাকা মানুষ দুর্দশায় পড়ে। তাই এসব এলাকা খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দেশটিতে করোনাভাইরাসে প্রায় ৪০ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১ লাখ ৪০ হাজারের বেশি যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা।
এখন পর্যন্ত দেশটির বালি দ্বীপের ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন জনসংখ্যার প্রায় ৯৮ শতাংশ নাগরিক প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং ২য় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পন্ন করেছেন ৮০ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে, রিয়াউ দ্বীপপুঞ্জের ৮৩ শতাংশ নাগরিক প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন এবং ২য় ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া সম্পন্ন করেছেন ৫৮ শতাংশ মানুষ।
ইন্দোনেশিয়ায় ১৭ হাজারের বেশি দ্বীপ থাকলেও ভ্রমণপিপাসুদের কাছে বরাবরই এক অনন্য আকর্ষণীয় স্থানের মর্যাদা পেয়েছে বালি দ্বীপ। বালি দ্বীপের সৌন্দর্য উপভোগ, বিস্তৃর্ণ ধান ক্ষেত, মন্দিরের সৌন্দর্য আর নয়ন জুড়ানো সমুদ্র সৈকতে সূর্যস্নান করতেই মূলত এখানে ভিড় করে দেশি-বিদেশি পর্যটকরা।