নেত্রকোনা ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের চতুর্মুখী আক্রমণের মুখে হানাদার বাহিনী শহর ছেড়ে পালিয়ে যাবার পথে মোক্তারপাড়া ব্রিজ ও বর্তমান কৃষি ফার্মের কোনায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাক হানাদারদের মরণপণ লড়াই হয়। বর্তমানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে প্রজন্ম ৭১ নামকরণ করা হয়েছে সেই যুদ্ধস্থলটিকে।
সেদিন সম্মুখ যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার (আবু খাঁ), মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ এবং মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সাত্তার শহীদ হন। আহত হন টাইগারখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু সিদ্দিক আহমেদ।
অবশেষে লড়াই ছেড়ে পাক হানাদার বাহিনী ময়মনসিংহের দিকে পালিয়ে যায়। মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে শহরে প্রবেশ করে স্বাধীন বাংলার সবুজ জমিনে লাল সূর্যখচিত পতাকা উত্তোলন করে নেত্রকোনা শহরকে মুক্ত ঘোষণা করে বিজয় উল্লাস করেছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে প্রতি বছর বিজয় মিছিলসহ নানা আয়োজন থাকলেও এবার করোনায় শুধু ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে সীমিত পরিসরে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মুক্তিযোদ্ধা আইয়ূব আলী ও হায়দার জাহান চৌধুরী বলেন, এই দিবসের তাৎপর্য কোনো অংশে বিজয় দিবসের চেয়ে তাদের কাছে কম নয়। দুটো দিবসই সমান গুরুত্বপূর্ণ। আর এসব দিবসগুলো নিয়ে যত বেশি আয়োজন হবে ততো বেশি নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে। নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস জানানোই এখন বড় দায়িত্ব।