Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ১১ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪

৭ মার্চের ভাষণ এখনো কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে: ইকোনমিক টাইমস

বহুমাত্রিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪০, ৭ মার্চ ২০২১

প্রিন্ট:

৭ মার্চের ভাষণ এখনো কোটি মানুষকে অনুপ্রাণিত করে: ইকোনমিক টাইমস

৭ মার্চ শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। পাঁচ দশক আগে এই দিনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করতে লাখো মানুষকে ডাক দিয়েছিলেন। এ ভাষণ এখনো অনুপ্রেরণা জোগায় উল্লেখ করে দিনটিকে স্মরণ করেছে ইকোনমিক টাইমস। খবরে বলা হয়েছে, এই বছরের ৭ মার্চ তাৎপর্যপূর্ণ কারণ জাতি আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করতে যাচ্ছে এবং দেশজুড়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর জ্বলন্ত বক্তব্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাংলাভাষী নাগরিকদের মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে অনুপ্রাণিত করেছিল।

এই ভাষণের ১৮ দিন পরে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী নিরস্ত্র নাগরিক, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদ এবং সশস্ত্র কর্মীদের বিরুদ্ধে "অপারেশন সার্চলাইট" চালু করে। ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক অর্গানাইজেশন (ইউনেস্কো) এ বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে ওয়ার্ল্ড ডকুমেন্ট হেরিটেজের অংশ বলে ঘোষণা করে।

১৯ মিনিটের এই ঐতিহাসিক ভাষণে মুজিব বলেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। তিনি পাকিস্তানের সামরিক জান্তার শোষণ, পরাধীনতা ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে লড়াই করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। জ্যাকব এফ ফিল্ডের লেখা বই যেখানে গত ২৫০০ বছরের যুদ্ধকালীন অনুপ্রেরণাদায়ী ভাষণ সংকলিত করা হয়েছে, সেখানেও বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি সংযুক্ত করা হয়েছে।

এই ভাষণের প্রভাব ছিল অকল্পনীয়। এর দ্বারা বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষই সৈনিকে পরিণত হয় এবং শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে মুক্তির জন্য তারা লড়াই করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতি মিনিটে ৫৮ থেকে ৬০ শব্দ উচ্চারণ করে ১৯ মিনিটের মধ্যে এই বক্তব্য শেষ করেছিলেন। সম্প্রচার তত্ত্বে, প্রতি মিনিটে ৬০টি শব্দ একটি আদর্শ হিসাবে বিবেচিত হয়। ১১০৭ শব্দের বক্তৃতায় কোনও বিরক্তিকর পুনরাবৃত্তি ছিল না। কোনও অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য ছিল না — কেবলমাত্র মূল বিষয়গুলি ছিল। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের শেষ লাইন ছিল, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। এই লাইন দ্বারা দৃঢ়ভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা করাই বোঝায়।

কোনো পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই এই ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তবুও তাঁর উচ্চারিত শব্দে কোনো দ্বিধা বা পুনরাবৃত্তি ছিল না। এখানে একটা কথা স্মরণ করতে চাই। খ্যাতিমান আন্তর্জাতিক নিউজ ম্যাগাজিন নিউজউইক ১৯৭১ সালের ৫ এপ্রিল সংখ্যার প্রচ্ছদ স্টোরিতে বঙ্গবন্ধুকে ‘রাজনীতির কবি’ বলে অভিহিত করেছিল।

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer