Bahumatrik | বহুমাত্রিক

সরকার নিবন্ধিত বিশেষায়িত অনলাইন গণমাধ্যম

বৈশাখ ৬ ১৪৩১, শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪

৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ‘এ গ্রেড’ দেয়ার অভিযোগ

কাজী রকিবুল ইসলাম

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ১০ মার্চ ২০১৯

আপডেট: ০০:০০, ৩১ ডিসেম্বর ১৯৯৯

প্রিন্ট:

৫ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে ‘এ গ্রেড’ দেয়ার অভিযোগ

 

যশোর: নীরবে দূর্নীতি হচ্ছে যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউট কার্যালয়। গত বছর ২০১৮ সালে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পাশ করা ৭০ জন শিক্ষার্থীরা গত তিন যাবত মার্কশিট ও প্রশংসা পত্র মাথাপিছু ৮ হাজার টাকা করে ৫লাখ ৫৬ হাজার টাকার বিনিময়ে নিয়ে গেলেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর জন্য শিক্ষার্থীরা পরীক্ষার মূল্যায়ন পেয়েছেন এ গ্রেড।

গত বছরে পাশ করা ডিপ্লোমা ইন নার্সিং শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বি ও সি গ্রেড পেয়েছিলেন তাদেরকে মার্কশিটে এ গ্রেড করে দেওয়া হয়েছে টাকার বিনিময়ে। আর এই কাজটি করেছেন স্বয়ং নার্সিং ইন্সটিটিউটের ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন। এ তথ্য নির্ভরযোগ্য সূত্রের।

যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউট সূত্রে ও পাশ করে যাওয়া শিক্ষার্থী নাম না প্রকাশ করার শর্তে জানান,যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউট কার্যালয়ে গত বছর ২০১৮ সালে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পাশ করা শিক্ষার্থীরা মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র নিতে ইন্সটেক্টর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিনের সাথে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগ করলে তিনি শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেন মার্কশীট ও প্রশংসাপত্র নিতে হলে মাথাপিছু তাদেরকে ১০ হাজার টাকা দিতে হবে। বিনিময়ে তিনি এ গ্রেড দেবেন। টাকা নিয়ে দর কষাকষির এক পর্যায় ৮ হাজার টাকা মাথা পিছু চুক্তি হয়।

ইন্সটিটিউট সূত্রগুলো জানিয়েছেন, গত বছরে ১০৫ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারী পাশ করেছেন তাদের মধ্যে যারা মেধাবী শিক্ষার্থী তারা এ গ্রেড পেয়েছে। যারা মেধাবী নয় তারা বি ও সি গ্রেড পেয়েছেন তাদেরকে তিনি চুক্তিকৃত টাকার কারণে এ গ্রেড করে দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার ৭ মার্চ থেকে রোববার ১০ মার্চ তিনদিন পর্যন্ত ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পাশ করা ৭০ জন শিক্ষার্থীরা মাথা পিছু ৮ হাজার টাকার বিনিময়ে তাদের পাশ করা মার্কশীট ও প্রশংসাপত্র গ্রহন করেছেন। টাকার বিনিময়ে মার্কশিট গ্রহণকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঝালোকাটির সোনিয়া আক্তার,প্রিয়া আক্তার,রিনা পারভীনসহ অনেকে রয়েছেন যারা এ গ্রেড না পেয়েও চুক্তিকৃত টাকার বিনিময়ে এ গ্রেড পেয়েছেন।

সূত্রগুলো দাবি করেছেন, যশোর নার্সিং ইন্সটিটিউটের গত বছরের ২০১৮ সালে ডিপ্লোমা ইন নার্সিং পাশ করা রেজাল্ট রেজিষ্ট্রার দেখলে ও শুধুমাত্র নার্সিং ইন্ট্রাক্টর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিনের স্বাক্ষর করা মার্কশীট পরীক্ষা করলে বেরিয়ে আসবে মেধাবীদের মূল্যায়ন এখানে ভুলুন্ঠিত হয়েছেন। শুধুতাই নয় মার্কশিট প্রস্তুুতের স্বাক্ষর ছাড়া ইনচার্জ নিজেই স্বাক্ষর করে টাকার বিনিময়ে প্রদান করেছেন। সূত্রগুলো দাবি করেছেন, ইন্সক্ট্রাটর ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন বর্তমানে যে সব শিক্ষার্থীরা অত্র ইন্সটিটিউটে প্রশিক্ষনে রয়েছেন তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে মাসে মোটা অংকের উৎকোচ হাতিয়ে নেন। তার দূর্নীতির খবর ইন্সটিটিউটে যারা কর্মরত তাদের কাছে এখন ওপেন সিক্রেটে পরিণত।

প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সময় তিনি জিম্মি করে বছরে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননা। কেউ যদি তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তার আর রক্ষা নাই।সূত্রগুলো আরো জানান,তিনি যে অত্যাচার চালান অত্র ইন্সটিটিউটে প্রশিক্ষণরত শিক্ষার্থীদের উপর যা ইন্সট্রাক্টর ও প্রশিক্ষনরত শিক্ষার্থীদের অজানা নয়।

তবে তিনি তার দূর্নীতি ঢাকতে ঢাকা ডাইরেক্ট অব নার্সিং দপ্তরের প্রধানের সাথে তার হট লাইন রয়েছে বলে তিনি দূর্নীতি করে পার পেয়ে তা প্রমান করে দেন। অবিলম্বে মার্কশিট ও প্রশংসাপত্র প্রদানে অর্থ নিয়ে সকল শিক্ষার্থীকে এ গ্রেড দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত দাবি করেছেন মেধাবী শিক্ষার্থীরা। এ ব্যাপারে সেলিনা ইয়াসমিনের মুঠো ফোনে সন্ধ্যা ৭-২০ থেকে ৩০ পর্যন্ত তার নাম্বারে এক সাংবাদিক ফোন দিলে রিং বাজলেও তিনি রিসিভ করেননি। যার ফলে তার বক্তব্য দেওয়া যায়নি।

বহুমাত্রিক.কম

Walton Refrigerator Freezer
Walton Refrigerator Freezer