ঢাকা : দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের ৪০ বীরাঙ্গনাকে তালিকাভুক্ত করার দাবি উঠেছে বহুবারই, কিন্তু আমলে নেয়নি কেউই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অনেক আবেদনের পর ওই নারীদের তালিকাভুক্ত করে সম্মাননা প্রদান বিষয়ে এবারই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।
বিষয়টি যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
৭১`র সেই যুদ্ধে ভয়াল ঘটনার রূপ নিয়েছিল দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায়। উপজেলার প্রাণকৃষ্ণপুর, আন্দোলগ্রাম, সারাইপাড়া ও খয়েরগুনি গ্রামের ১১৯ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল হানাদার বাহিনী। সেই গণহত্যায় নবাবগঞ্জের চড়ারহাট পরিণত হয় বধ্যভূমিতে। সম্ভ্রমহানির ঘটনাও ঘটেছিল এসব গ্রামে। এলাকার সম্ভ্রম হারানো নারীরা লজ্জায় সমাজে মাথা উঁচু করে কিছু বলতে পারেন না কখনও।
আক্ষেপের সুরে নির্যাতিত মেহেরুন নেছা বলেন, `নাইবা থাকল ইতিহাসে আমাদের নাম, কিন্তু আমাদের নিয়েই তো ইতিহাস।`
৪০ বীরাঙ্গনার সম্মাননায় ভূষিত করার দাবি করেছেন নবাবগঞ্জ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী সরকার। উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারুল নাহার বলেন, `যারা নিজেরাই স্বীকার করবেন তাঁদেরকেই তালিকাভুক্ত করা হবে।`
মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার ৪০ নারীর বিষয়ে তথ্য চেয়েছে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। ইতিমধ্যে তিন সদস্যের কমিটির মাধ্যমে যাচাইয়ের কাজ শুরু করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান।