শর্ত লংঘন করে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ না করায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির ১৭ পরিচালকের পদ বাতিল করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রোববার এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বিএসইসি।
বিএসইসির সূত্রমতে, ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালককে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণ করার জন্য চিঠি দেয় কমিশন। এর মধ্যে ২৫ জন পরিচালক ২ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন। বাকিদের মধ্যে ১৮ জন পরিচালক নিজেরাই কোম্পানি পর্ষদ থেকে চলে গেছেন। আর ১০ কোম্পানির ১৭ পরিচালক এখনও পর্ষদে আছেন। তাদের পদ বাতিল করেছে বিএসইসি।
এর আগে শিবলী রুবাইয়াত কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ২ জুলাই ২০২০ সালে ২ শতাংশ শেয়ার ধারণের বাধ্যবাধকতা দিয়ে আদেশ জারি করেন। সময় দেওয়া হয় ৪৫ দিন। এই সময় শেষ হয়েছে গত রোববার। ইতোমধ্যে অনেক পরিচালক আইনটি পরিপালন করেছেন। যারা করেনি তাদের পরিচালক পদ বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গত ২ জুলাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২২টি কোম্পানির ৬১ জন পরিচালককে ন্যূনতম শেয়ার ধারণ নিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছে। তবে এই নির্দেশনা থেকে স্বতন্ত্র পরিচালনা বাদ থাকে।
উল্লেখ্য, ২০০৯-১০ সালে শেয়ার কারসাজির পর ভয়াবহ দরপতনের প্রেক্ষাপটে ২০১১ সালের ২২ নভেম্বর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালকদের এককভাবে ও সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম শেয়ার ধারণের শর্ত আরোপ করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল, কোম্পানি পরিচালনায় জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে যথাযথ প্রতিনিধিত্বশীল পর্ষদ গঠন করা।
ওই নির্দেশনায় পরিচালক পদে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এককভাবে কমপক্ষে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির ২ শতাংশ শেয়ার থাকার বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছিল বিএসইসি। এ ছাড়া কোম্পানির উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে ৩০ শতাংশ শেয়ার থাকার শর্ত দেয়। গত আট বছরে অনেক পরিচালক ও কোম্পানি এ শর্ত লঙ্ঘন করেছে। এ নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে ওই বছরই ৪ কোম্পানির ১৪ জন পরিচালক আদালতে রিট করেন। আর শেষ পর্যন্ত পরিচালকদের রিট খারিজ করে বিএসইসির সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন আদালত।