করোনাভাইরাসে নাকাল বিশ্ব। এ থেকে বাঁচতে একটি কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরির জন্য গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বব্যাপী ১৬৫টি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ চলছে।এদিকে ব্রাজিলে উৎপাদিত হবে রাশিয়ার অনুমোদিত ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি। এ নিয়ে ইতোমধ্যে একটি চুক্তিও হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত মস্কোর দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া জানিয়েছেন, আগ্রহী দেশগুলোকে ভ্যাকসিন দিতে প্রস্তুত রয়েছে রাশিয়া।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আদানম গেব্রিয়াসুস বলেছেন, বর্তমানে ১৬৫টি টিকা নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ চলছে। সেগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণা চলছে। কোনো কোনোটা সফলতার কাছাকাছি অবস্থান করছে।এর মধ্যে ছয়টি টিকা তৃতীয় ধাপে পৌঁছেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মসূচিবিষয়ক পরিচালক ডা. মাইক রায়ান টিকাকে করোনা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় বলেও উল্লেখ করেন।এদিকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন অনুমোদন দেয়ার পর রাশিয়া আগ্রহী দেশগুলোর সঙ্গে এর উন্নয়ন ও উৎপাদনে সহায়তার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত মস্কোর দূত।
বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, মহামারীর বিরুদ্ধে জয়ী হতে আন্তর্জাতিক সহযোগীদের জন্য প্রস্তুত রয়েছে মস্কো। ১১ আগস্ট বিশ্বের প্রথম ভ্যাকসিন হিসেবে ‘স্পুটনিক-ভি’ অনুমোদনের ঘোষণা দেয় রাশিয়া।প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, এই ভ্যাকসিন ইতোমধ্যে তার মেয়ের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। তবে রাশিয়ার ঘোষণার পরই ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করে বিভিন্ন দেশ।
মস্কোর দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, ইতোমধ্যে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় ভ্যাকসিনটির নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ভ্যাকসিনটির উন্নয়ন ও উৎপাদনে আগ্রহী সব সহযোগীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহায়তার জন্য প্রস্তুত।
একই সঙ্গে কোভিড-১৯ এর বিস্তারের বিরুদ্ধে সমন্বিত আন্তর্জাতিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করতেও তৈরি।
বর্তমানে করোনাভাইরাসের দুটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে দেশটিতে। এর মধ্যে একটি উদ্ভাবন করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অপরটি চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক।