ঢাকা : করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যাতে না বাড়ে সেজন্য ঈদের আগে না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের অন্যতম সেরা শপিংমল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স ও যমুনা ফিউচার পার্ক। বায়তুল মোকাররমসহ বেশ কিছু মার্কেটও বন্ধ থাকছে।
তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার নিশ্চিয়তা দিয়ে ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলছে দেশীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘আড়ং’। এছাড়া সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের জুতা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্স। একইভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বহুজাতিক জুতা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাটাও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাটা কোম্পানির ম্যানেজার জোবায়ের ইসলাম বলেন, যেসব স্টোর খোলা থাকবে, সেগুলোতে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মানা হবে। এ জন্য আমরা পর্যাপ্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করেছি। ক্রেতারা জীবানুমুক্ত হয়ে স্টোরে আসার অনুমতি পাবেন। এছাড়া ক্রেতারা যাতে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে পারেন সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, শর্তসাপেক্ষে শপিংমল খোলার বিষয়ে সরকারের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে খুলবে দেশের শীর্ষস্থানীয় ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘আড়ং’। প্রতিষ্ঠানটি সারাদেশে থাকা ২১টি আউটলেটের মধ্যে ১৭টি আউটলেট খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আড়ংয়ের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম বলেন, আউটলেট খোলার ক্ষেত্রে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি গ্রাহক ও বিক্রয়কর্মীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি। গ্রাহকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রথমত দূরত্ব মানার বিষয়টি নিশ্চিত করছি, তারপর কেনাবেচা।
তিনি বলেন, করোনার যেসব এলাকা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ যেমন নারায়ণগঞ্জ ও রাজধানীর বাসাবো-এসব এলাকার আউটলেট খুলবো না। এছাড়া যমুনা ফিউচার পার্ক ও বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের আউটলেট দুটিও মার্কেট খোলা না থাকায় বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে সারাদেশে ২১টি আউটলেটের মধ্যে ১৭ আউটলেট খুলবো।
এদিকে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশের জুতা তৈরিকারক প্রতিষ্ঠান এপেক্সও সীমিত আকারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।