-আফগানিস্তানে সহিংসতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত।
আফগানিস্তানকে সর্বদা স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে দেখার অভিপ্রায় ব্যক্ত করে বক্তব্য দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি ভারত খুব গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে বলেও জানায় তাঁরা।
২৯ জুলাই, বৃহস্পতিবার, সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল ব্রিফিং এ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, “আমি আবারও বলতে চাই, ভারত সবসময়ই স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক ও স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে আফগানিস্তানকে দেখতে চায়, যেখানে আভ্যন্তরীণ শান্তির পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গেও সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “কোনো এক পক্ষের পক্ষ থেকে দেশটির বর্তমান পরিকাঠামোর উপর একতরফাভাবে কিছু চাপিয়ে দেয়া মোটেও গণতান্ত্রিক পন্থা হবেনা। এটি দেশটিকে স্থিতিশীলতার দিকে যেমন নিয়ে যাবেনা, তেমনই এর কোনো বৈধতাও থাকতে পারেনা। আফগান ভূমিতে গত দু দশকে অর্জিত সমৃদ্ধি এবং উন্নয়ন সংরক্ষণ করা উচিৎ।”
সাম্প্রতিক তালেবান ও চীন বৈঠক প্রসঙ্গে বাগচী বলেন, “আমরা আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি খুব গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি।” এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করও আফগানিস্তান সম্পর্কে অনুরূপ মন্তব্য পেশ করেছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, চলমান আফগান পরিস্থিতির উন্নয়নে রাজনৈতিক আলোচনার উপর জোর দিচ্ছে ভারত। ইতোপূর্বে, গত বুধবার ভারতে সফর করে যাওয়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের সঙ্গে আফগান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে ভারত ও আমেরিকার মনোভাব সমভাবাপন্ন বলেও পরবর্তীতে রাজ্যসভায় জানিয়েছেন জয়শঙ্কর।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধ শেষে মার্কিন বাহিনীর বিদায়ের পর থেকেই ক্ষমতার লড়াইয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত সরকারী বাহিনী এবং তালেবান। ক্রমাগত দেশটিতে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিচ্ছে তালেবান জঙ্গিরা। অধিকাংশ ভূমিতে নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে সরকারী বাহিনী। এমতাবস্থায় সহিংসতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধিতে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে ভারত। দেশটিতে অবিলম্বে যুদ্ধ বিরতি ও আফগান শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরুর জন্যে চেষ্টা চালাচ্ছে মোদী সরকার।