স্কুলশিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আনতে জন্ম সনদের মাধ্যমে সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা করোনার টিকার জন্য আবেদন করতে পারবে।
পরীক্ষামূলকভাবে টিকা নেওয়া স্কুলশিক্ষার্থীদের ১০-১৪ দিনের পর্যবেক্ষণ শেষে সারা দেশের ২১টি কেন্দ্রে শিশু-কিশোরদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
এ সময় তিনি বলেন, জন্ম সনদ দিয়ে স্কুলশিক্ষার্থীদের নিবন্ধন উন্মুক্ত হয়েছে। শনিবার (১৬ অক্টোবর) থেকে সুরক্ষা অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করা যাবে। তারাই নিবন্ধন করতে পারবে, যাদের নাম স্কুলের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে আইসিটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে করোনা টিকার আওতায় এল দেশের শিশুরা। পরীক্ষামূলক এই কার্যক্রমে মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১২০ শিশুকে দেওয়া হয় ফাইজার বায়োএনটেকের করোনা টিকা। টিকা দিতে পেরে ছোটদের পাশাপাশি খুশি অভিভাবকরাও।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে কয়েকটি স্কুলের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১২০টি শিশুর দেহে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয় ফাইজার বায়োএনটেকের করোনার টিকা। যার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।