ঢাকা : সৌদি আরবে মরুভূমিতে কৃষি খামার ও কৃষি কাজ করে ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী। দেশে থাকা সন্তানদেরকে উচ্চশিক্ষিত করার পাশাপাশি স্বচ্ছলতা ফিরিয়েছেন পরিবারের। তবে কৃষি শ্রমিক সংকটের কারণে তাদের পক্ষে কৃষি কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার কানকীরহাট বীরকোট গ্রামের আব্দুর রশিদ চৌধুরীর তৃতীয় ছেলে জসিম। জীবন জীবিকার তাগিদে ১৯৯১ সালে আসেন সৌদিআরবে। দীর্ঘ ১২ বছর গাড়ি চালকের পেশায় কাজ করেন তিনি। এক পর্যায়ে রাজধানী শহর থেকে প্রায় শত মাইল দূরে আল খারিজ থেকে শহরের সবচাইতে বড় সবজি বাজারে মালামাল পরিবহনের কাজ শুরু করেন। বছরখানেক পর নিজেই প্রায় দুশো একর জমি ইজারা নিয়ে শুরু করেন সবজি চাষ। মরুভূমির বুকে চাষাবাদ করে নিজের ভাগ্য বদলে ফেলেছেন তিনি। তবে এ ক্ষেত্রে দেশীয় বীজ ও শ্রমিক সংকটের কথা জানান তিনি।
প্রবাসী বাংলাদেশি কৃষক জসিম বলেন, বাংলাদেশের বীজটা পাওয়া যাচ্ছে না। করলা, ঝিঙা,দুন্দলের চাহিদা সৌদি আরবের লোকজনের কাছে বেশি। আর এইগুলো পাওয়া যায় না।
দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা এবং কাজের প্রতি একনিষ্ঠতার কারণে জসিম এর দেখাদেখি কৃষি খামার করেছেন নোয়াখালী জেলার আরেক প্রবাসী শাহাবউদ্দিন। তিনি বলেন, কৃষিতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের খুবই ভালবাসের সৌদি মালিকরা। কিন্তু এখন বর্তমান সমস্যার কারণে প্রবাসী আসতে পারতেছে না।
আর মাঠ পর্যায়ে কাজে থাকা কৃষি শ্রমিকরা জানালেন তাদের সন্তুষ্টির কথা।কৃষকরা জানান, আমরা দেশে কৃশি কাজ করেছি, এখানেও একই কাজ করতেছি। কোন সমস্যা হচ্ছে না।
কৃষি কাজে নিয়োজিত প্রবাসীরা জানান, অনেক কৃষি খামার শুধুমাত্র শ্রমিক সংকটের কারণে খালি পড়ে আছে।
কৃষকদের জীবন মান উন্নয়নে উদ্যোগ গ্রহণ এবং কৃষি কাজের প্রতি আরো উৎসাহিত করা হলে প্রবাসের মত দেশেও কৃষি খাতে বড় ধরণের অর্জন সম্ভব বলে মনে করেন প্রবাসী ব্যবসায়ী জিয়া উদ্দিন।
বাংলাদেশ থেকে ভালো মানের বীজ রপ্তানি ও শ্রমিক সংকট কাটানো গেলে প্রবাসে খামারের ব্যবসার মাধ্যমে দেশের রেমিটেন্স প্রবাহ আরও বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন প্রবাসীরা।